বাবা একজন অতি জনপ্রিয় মন্ত্রী এবং রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নিজের পরিচয় গড়তে ব্যবসা করছেন এই তরুণ! দেখুন তো চেনেন কিনা…

বাবা রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Central Minister) কিন্তু তাও ব্যবসা করে নিজের পরিচয় বাড়াচ্ছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পুত্র মহাআর্যমন সিন্ধিয়া (Mahanaryaman Scindia)। নিজের বাবার খ্যাতি, নাম, যশ থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে আজ নিজের অস্তিত্ব তৈরি করেছেন। গত বছরই তিনি তাঁর নতুন স্টার্টআপ শুরু করেছেন। আসলে এটি হল একটি এগ্রিকালচার স্টার্টআপ। তাঁর বন্ধু সূর্য্যশ রানার সাথে শুরু করা এই স্টার্টআপ এর নাম হল “মাই মান্ডি”। আর এই ব্যবসা থেকেই তিনি করেছেন কোটি টাকার আয়। গোয়ালিয়র রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পুত্র এখন ভারতের একজন অন্যতম বহুল চর্চিত নাম, নিজের চেষ্টা এবং কর্মযোগের খাতিরে আজ তিনি বহু মানুষের রোল মডেল হয়ে উঠেছেন। মূলত মাই মান্ডি হল একটি অনলাইন এগ্রিগেটর যেটির মাধ্যমে ফল ও সবজি সরবরাহ করা হয়।

আরো পড়ুনঃ দুই ঘন্টার বেতন প্রায় ৪ কোটি টাকা! গুগলের বেতন শুনে অবাক ধনকুবের ইলন মাস্ক…

Mahanaaryaman Scindia start up business

মাত্র এক বছরেই তিনি কোটি টাকা আয় করেছেন। তবে তিনি মনে করেন এই ব্যবসা ভবিষ্যতে আরো লাভের মুখ দেখবে।  অবশ্য এখন এই কোম্পানি গোয়ালিয়র, নাগপুর, জয়পুর  এবং আগ্রা এই চারটি শহরে ব্যবসা করছে। সিন্ধিয়া পুত্র নিজেই জানিয়েছেন পরে এই কোম্পানিটিকে ধীরে ধীরে অন্যান্য শহরে প্রসারিত করার পরিকল্পনাও  রয়েছে।

Mahanaaryaman Scindia start up business

প্রসঙ্গত, এবার আসা যাক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পুত্র মহাআর্যমন সিন্ধিয়া (Mahanaryaman Scindia) র ব্যাক্তিগত জীবনে। তিনি  দুন স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। দুন স্কুল থেকে টুয়েলভ পাশ করে তিনি গ্র্যাজুয়েট হতে  গেইল বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।  পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি নিজে কাজ করার স্বপ্ন ও দেখতেন। চাইতেন পড়া শেষে নিজের যোগ্যতায় কিছু কাজ করবেন। এমনকি দীর্ঘদিন তাঁর বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

আরো পড়ুনঃঠিক যেন বইয়ের হস্তাক্ষর! সুন্দর হাতের লেখায় বিশ্ব রেকর্ড করলো ভারতের এই পড়ুয়া…

আর সেই স্বপ্নই সত্যি হল মাই মান্ডির হাত ধরে। এই বিজনেসের মাধ্যমে তিনি এখন একটু একটু করে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াচ্ছেন। অবশ্য শুরুর দিকে বিষয়টা এতোটাও সহজ ছিলোনা। নিজের ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য তিনি নিজে দিন রাত এক করে পরিশ্রমও করেছেন, তাই আজ মাইমাণ্ডি এতো সফল হয়েছে।