ঠিক যেন বইয়ের হস্তাক্ষর! সুন্দর হাতের লেখায় বিশ্ব রেকর্ড করলো ভারতের এই পড়ুয়া…

হাতের লেখার (Hand Writing) মাধ্যমে অনেকেই অনেক মানুষের চরিত্র বুঝে নিতে পারেন। আবার ছোট থেকে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা নিজেদের হাতের লেখার জন্য সর্বদাই সুনাম অর্জন করেন। সে পরীক্ষা হোক বা কর্মক্ষেত্র একটা সময় ছিলো হাতের লেখার আলাদাই কদর্য ছিলো। তবে বর্তমানেও তা কম কিছু নয়, এখনো হাতের লেখা সুন্দর হওয়ার জন্য মানুষকে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়। ঠিক যেমনটা হয়েছে এবারে, ছেলেদের মধ্যে সবথেকে সেরা সুন্দর হাতের লেখায় বিশ্বের নিরিখে এগিয়ে আছে ভারত। মেয়েদের মধ্যে হাতের লেখায় নেপাল এগিয়ে থাকলেও ভারতে  কিন্তু বিশ্বের সবথেকে সেরা সুন্দর হাতের লেখার কৃতিত্ব পেয়েছে একটি ছেলেই। ব্যাঙ্গালোরের ওই স্কুল পড়ুয়া রেমন স্মিথ রিচার্ড (Raymon Smith Richard)।

আরো পড়ুনঃ২০২৩-এই নাকি ঘটবে এইসব অদ্ভুত ঘটনা! এমন ভবিষ্যদ্বাণীই দিলেন এই টাইম ট্রাভেলার

ওয়ার্ল্ড হ্যান্ড রাইটিং প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে শুধু নিজের শহরকে নয়, গোটা দেশকে গর্বিত করেছে।  ওই পড়ুয়া কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর বাবুস্যাপলার সেন্ট ভিন্সেন্ট পালোটি স্কুলের ছাত্র।  নিউইয়র্ক এর  সংগঠন হ্যান্ডরাইটিং ফর হিউম্যানিটির তরফ থেকে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ২০২০ সালের এই প্রতিযোগিতায় ফাংশনাল হ্যান্ড রাইটিং গ্রুপের প্রি-টিনস বিভাগের অর্থাৎ ৮ থেকে ১২ বছর গ্রুপের মধ্যে সেরা নির্বাচিত হয়েছে রেমন স্মিথ রিচার্ড (Raymon Smith Richard)।

raymond smith richard got prize for good hand writing

গোটা বিশ্ব থেকে প্রায় এক লক্ষেরও বেশি প্রতিযোগী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলো। সেখানেই ব্যাঙ্গালোরের এই পড়ুয়া প্রথম স্থান অধিকার করেন। বর্তমানে এই পড়ুয়া ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র, তবে এই প্রতিযোগিতায় যখন সে অংশ নিয়েছিলো তখন সে তৃতীয়শ্রেনীতে পড়তো। অবশ্য স্কুল পড়ুয়ার এই সাফল্যে গর্বিত তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বাবামা সকলেই।

raymond smith richard got prize for good hand writing

আরো পড়ুনঃ AI -সংবাদ পাঠিকার ট্রেন্ডে যোগ দিল বাংলাদেশ! দেখুন বিশেষ খবর পাঠের মুহূর্ত…

মা রোজালিন রিচার্ড এবং বাবা  ভিনসেন্ট রিচার্ড জানিয়েছেন চতুর্থ প্রচেষ্টায় এই সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে তাদের সন্তান। প্রতিযোগিতার বিজয়ী হিসেবে ওই পড়ুয়া ওই সংস্থার থেকে ই-মেইল মারফত শংসাপত্রের একটি  ডিজিটাল কপি পেয়েছে।  কিন্তু এই প্রতিযোগীতার পরেও ওই ছাত্র নিয়মিত লেখা প্র্যাকটিস করছে। প্রতিযোগিতা জেতার আগে যেভাবে সে নিজের চেষ্টা চালিয়েছে তাতে সে আমাদের প্রত্যেকের গর্ব।