একাধিক ডিগ্রীর অধিকারী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী! জেনে নিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) র শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন আছে। এমনকি এই বিষয়ে অনেকেই ভুয়ো তথ্য দিয়ে থাকেন। তবে আজকের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা মাননীয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে সবটা জেনে নেবো। তিনি কোন স্কুলে পড়েছেন, কবে কোথা থেকে কত সালে পাশ করেছেন ইত্যাদি। আমাদের দেশের  ৩০ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে ৩৭ শতাংশই নিজেদের গ্র্র্যাজুয়েট বলে দাবি করেছেন। তবে এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নিজেদের গ্র্যাজুয়েট প্রফেশনাল বলে দাবি করলেও এর মধ্যে ৩ শতাংশ মুখ্য়মন্ত্রী রয়েছেন যাঁরা মাধ্যমিক পাশ, ডক্টরেট ও ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত।

আরো পড়ুনঃ বাবা একজন অতি জনপ্রিয় মন্ত্রী এবং রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নিজের পরিচয় গড়তে ব্যবসা করছেন এই তরুণ! দেখুন তো চেনেন কিনা…

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ১৯৭০ সালে দেশবন্ধু শিশু শিক্ষালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ১৯৭৪ সালে যোগমায়া দেবী কলেজ (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বিএ নিয়ে স্নাতক করেন। ১৯৭৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ করেন, তার দু বছরের মাথায় এমএ পাশ করেন। পরে ১৯৮০ সালে শ্রী শিক্ষাতন (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে বি এড করেন। ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজ অফ ল থেকে এলএলবি করেন।

 Mamata Banerjee educational qualification

দ্য অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস এর রিপোর্টে এবার দেশের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য় সামনে এসেছে।  যেখানে প্রায়  ১০ শতাংশ মুখ্যমন্ত্রী উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। আর বাকিরা অনেকেই কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরে পড়াশোনা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে অনেক মন্ত্রীর কাছে এই বিষয়টি বিতর্কিত বলে মন হয়। তাই তারা এই বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করতে চান না।  তবে এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তর তথ্য মিলেছে।

 Mamata Banerjee educational qualification

 

আরো পড়ুনঃ আপনার গাড়িতেও বেশি জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে না তো? পেট্রোল পাম্পের এই বিষয়গুলি নজরে রাখুন, নাহলে আপনিও সমস্যায় পড়তে পারেন

বর্তমানে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নেতামন্ত্রীদের নিয়ে নানা অপপ্রচার করে থাকেন। সেখানে তাদের ব্যক্তিগত জীবন থেকে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও ভুল তথ্য দেওয়া হয়। কিন্তু  এই তথ্য  কিছুটা হলেও  মিথ্যে তথ্যগুলিকে ভুল প্রমাণ করবে।