৩৪ বছরের কঠিন লড়াই! অন্ধ হয়েও হাজার হাজার ট্রেন যাত্রীদের দিশা দেখাচ্ছেন শিয়ালদহ ষ্টেশনের এই ঘোষক

শিয়ালদহ (Sealdaha) রেল ষ্টেশন কলকাতা (Kolkata) র একটি অন্যতম ব্যাস্ত রেল ষ্টেশন। এখানে প্রতিদিনই ভারত থেকে আসা নানা যাত্রীর সমাগম ঘটে। শুধু কি তাই গোটা রাজ্যের নানা প্রান্তের মানুষ কাজ ও পড়াশোনার জন্য এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে যান। কিন্তু এই রেল ষ্টেশনেই আছে এমন একজন মানুষ যিনি কিনা দীর্ঘ সময় ধরে বহু মানুষকে পথ দেখিয়েছেন অথচ নিজেই কিনা চোখে দেখতে পাননা।

আরো পড়ুনঃ এসে গেছে নয়া ইলেক্ট্রনিক গাড়ি EC 3! ভারতের বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয় হচ্ছে এই নয়া গাড়ি, জানুন বিশেষ বৈশিষ্ট…

প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কত ট্রেনই না আসে যায় কিন্তু এই ব্যাক্তি নিজের সমস্যা অতিক্রম করেও সবাইকে দিশা দেখাচ্ছেন।  ইনি ষ্টেশনের একজন ঘোষক, দীর্ঘ বছর ধরে এই কাজে যুক্ত থেকে তিনি আজ বহুল পরিচিত।  কিন্তু যারা ট্রেন চাপেন না কলকাতা (Kolkata) য় শুধুমাত্র বাস বা মেট্রোর মাধ্যমেই যাতায়াত করেন, তারা অনেকেই এই ব্যাক্তিকে চেনেন না। 

blind announcer of kolkata

এই ব্যক্তির আসল নাম হল পরিতোষ, যিনি কিনা নৈহাটির বাসিন্দা। প্রত্যেক দিন ভোর ৫টা নাগাদ নৈহাটি স্টেশনে আসেন প্রথম ট্রেন ধরার জন্য। ডিউটি শুরু হয় সকাল ছটায়, শিয়ালদহে নেমে তিনি একেবারে চলে যান অ্যানাউন্সমেন্ট রুমে। প্রতিদিন ট্রেনে ওঠার সময় একজন সাহায্যকারী ঠিক পেয়েই যান তিনি, কিন্তু তাও হাতের লাঠিটা ছাড়তে পারেন না। নিজের কাজের প্রতি তিনি এতোটাই দায়িত্বশীল যে কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন ট্রেন কখন ছাড়বে সেইসব ব্রেলে লিখে নেন। কারণ কাজের এতোটাই চাপ থাকে যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

blind announcer of kolkata

আরো পড়ুনঃ প্যান বা আধার নয় তবে কি এবার নয়া নীতি আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার? জানুন বিশদ তথ্য

সেই ভুল এড়াতেই তিনি যত্ন নিয়ে নিজের কাজটুকু করেন। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি এর আগে আরো অনেক ষ্টেশনে কাজ করেছেন। দেখতে দেখতে প্রায় কর্মজীবনের  ৩৪ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন এই ব্যাক্তি। অবশ্য ওনার মতন আরো অনেকে আছেন যারা কিনা হাওড়া এবং   শিয়ালদহ স্টেশনে কাজ করেন। তারাও কিন্তু চোখে দেখতে পাননা কিন্তু জীবন যুদ্ধে হার মেনে যাননি। প্রতিদিন দিনই তারা কাজ করে নিজের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।