একরের পর একর জমি কিনছেন? ভারতের ভিন্ন রাজ্য সম্পর্কে জানুন সরকারের বিশেষ নিয়ম…
জমি কেনা বেচার ব্যাপারে ভারতে (India) বেশ কয়েকটি নিয়ম আছে, সম্পত্তি (Property) বাড়াতেই এমন অনেকে আছেন যারা জমি কিনে রাখেন। পরবর্তীকালে সেই জমি বিক্রয় করে বা ফ্ল্যাট বাড়ি বানিয়েও অনেকে অনেক পয়সা অর্জন করে। সোনা গয়না বা জমি কেনা বেচা এই দুটিই ভারতীয়দের কাছে সম্পত্তি (Property) বিস্তার করার একটি মূল মাধ্যম। তবে কি আপনি জানেন এই জমি কেনা নিয়েও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নানা নিয়ম রয়েছে? ভারতের যে কোনো রাজ্যেই একটি সীমা পর্যন্ত কৃষি জমি কেনা যায়।
আরো পড়ুনঃ আগস্ট মাস থেকেই কি নতুন নিয়ম ! এলপিজি টু আইটিআর ফাইলসহ একাধিক খাতে আসছে বিরাট পরিবর্তন…
এমন নয় যে একজন মানুষ যত খুশি জমি কিনতে পারবে। ভারতে জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর একে একে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এমনকি জাতীয় স্তরে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং কিছু অধিকার রাজ্যগুলিকে দেওয়া হয়েছিল। তাই জমি কেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সীমা ও প্রতিটি সিদ্ধান্ত কিন্তু রাষ্ট্রই নেয়।
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে চলুন দেখে নেওয়া যাক ভারতের কোন রাজ্যে কি নিয়ম রয়েছে। প্রথমেই আসা যাক কেরালার কথায়। এই রাজ্য ভারতের একটি অন্যতম রাজ্য যাকে আমরা গডস ওন ল্যান্ড হিসেবে চিনি। গাছপালায় ভরপুর এই সবুজ রাজ্যে একজন অবিবাহিত ব্যক্তি মাত্র ৭.৫ একর পর্যন্তই জমি কিনতে পারেন। আর যদি কোনো পরিবারে পাঁচ সদস্যা থাকেন তাহলে তাঁরা পনেরো একর পর্যন্ত জমি কিনতে পারে। আপাতত ১৯৬৩, কেরালায় ভূমি সংশোধনী এর আইন তাই বলে।
আরো পড়ুনঃকুমিরের ভিড় ফাঁকি, নাকের নিচ থেকে বেরিয়ে এল মোরগ! পরাজিত মৃত্যু
যদি মহারাষ্ট্রের কথায় আসি তাহলে এই রাজ্যে একজন ব্যাক্তি সর্বোচ্চ ৫৪ একর জমি কিনতে পারে। অবশ্য যারা চাষ করেন তারাই কিনতে পারবেন। অন্যদিকে বিহারে, শুধুমাত্র ১৫ একর পর্যন্ত কৃষি বা অকৃষি জমি কেনা যায়। পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ ২৪.৫ একর জমি কেনা যায়। গুজরাটেও যারা চাষাবাদ করেন, তারাই কৃষি জমি কিনতে পারে। যদি কেউ কর্ণাটকে জমি কেনেন তবে সে ৫৪ একর জমিই কিনতে পারবেন। উত্তরপ্রদেশের ক্ষেত্রে সর্বাধিক ১২.৫ একর চাষযোগ্য জমি কেনাই সম্ভব। আর হিমাচল প্রদেশের ক্ষেত্রে ৩২ একর জমি কেনা যাবে।