৫৬ হাজার আফ্রিকান হাতির ওজনের সমান, পৃথিবীর পরিধির সমান তারের ব্যবহার, সমুদ্রের উপর নির্মিত! জানুন এই সেতুর একাধিক অজানা তথ্য

Bandra-worli-sea-link-bridge: সমুদ্রের উপর নির্মিত এই ব্রিজ আপনাকে মুগ্ধ করবে, জানুন রহস্য

আমাদের দেশে আশ্চর্য জিনিসগুলির কথা আসলে অন্যান্য আশ্চর্য জিনিসগুলির মধ্যে মুম্বাইয়ের ‘বান্দ্রা-ওরলি-সি-লিঙ্ক-ব্রিজ’ (bandra-worli-sea-link-bridge) একটি। সমুদ্রের উপর এই ব্রিজের সৌন্দর্য নজর কাড়ার মতো। এটি ভারতের ৪ লেনের দীর্ঘতম সেতু, এই সমুদ্র সেতুর দৈর্ঘ্য ৫.৬ কিলোমিটার। এই সুরেতু তৈরি হওয়ার ফলে বান্দ্রা থেকে ওরলি পর্যন্ত যাত্রার সময় কমিয়ে ১ ঘন্টা থেকে ১০ মিনিটে নিয়ে এসেছে। এই সেতু সম্পন্ন হয় ২০০৯ সালে এবং তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ১৬০০ কোটি টাকা। ২০১০ সালে এটিকে ৮ লেনে চালু করা হয়। এই সেতুর নাম দেয়া হয়েছে ‘রাজীব গান্ধীর সি লিঙ্ক’ সেতু।

Bandra worli sea link

৫৬,০০০ আফ্রিকান হাতির সমান ওজন এই সেতু :-

‘বান্দ্রা ওরলি সি লিঙ্ক’ (Bandra worli sea link) সেতুর অনেক মজার তথ্য রয়েছে। এই সেতু তৈরি করতে অন্যান্য কাঁচামালের সাথে ৯০ হাজার টন সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে এই সেতুর ওজন ৫৬,০০০ আফ্রিকান হাতির ওজনের সমান।

 

ব্যবহৃত তারগুলি পৃথিবীর পরিধির সমান:-

আপনি জানলে অবাক হবেন এই ব্রিজ তৈরি করতে যে তারগুলি ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলি একসাথে যুক্ত করলে এর দৈর্ঘ্য পৃথিবীর এক পরিধির সমান হবে। এই তারগুলি এতটাই শক্তিশালী ৯০০ টন লোড বহন করতে পারে।

 

১১ টি দেশের সংস্থা এটি করেছে:-

এই ব্রিজ তৈরিতে শুধু ভারতীয় কোম্পানিগুলোরই অবদান নাই। ভারতের পাশাপাশি মিশর, চীন, কানাডা, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশর গ্রুপগুলি এই ব্রিজ উৎপাদনে জড়িত।

 

হেঁটে বা দু চাকার গাড়ি এই ব্রিজে যেতে পারবে না:-

বর্তমানে এই সেতুর ওপর দিয়ে হেঁটে, দুই চাকার গাড়ি বা তিন চাকার গাড়ি যাওয়া নিষিদ্ধ। এখনো পর্যন্ত চার চাকার গাড়ি বা বড় বড় গাড়িগুলো এই ব্রিজের সক্ষম। এই সেতুটি মুম্বাইয়ের প্রিয়। পরবর্তীতে এর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে আপাতত এখন ছোট গাড়ি নিষিদ্ধ।

Bandra worli sea link

ব্রিজের অপূর্ব সৌন্দর্য:-

এই ব্রিজের সৌন্দর্য অপূর্ব। ৫.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ব্রিজের ভ্রমণে একটা আলাদা মজা। এই বীজের সৌন্দর্য আপনি ‘ওয়ারলি সি ফেস’ থেকে লক্ষ্য করতে পারবেন। এছাড়া ‘বান্দ্রা বাসস্ট্যান্ড’ থেকেও এই বীজের সৌন্দর্য দেখা যায়। এই ব্রিজের দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে।