এবার রেশন দোকানেই মিলবে মদ! চাল, ডালের পর এবার অ্যালকোহল বিক্রির সিদ্ধান্ত রেশন ডিলার সংগঠনের
রেশন ডিলার ফেডারেশনের বড়পদক্ষেপ, রেশনের পণ্যের সাথে যুক্ত হবে মদও
এবার রেশন দোকানে বিক্রীত পণ্য গুলির সাথে যুক্ত হতে পারে মদও। এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে লিখিত অনুমদন জমা দিয়েছে রেশন ডিলার সংগঠন (Ration Dealers Organization)। খবর অনুযায়ী, ২০ই সেপ্টেম্বর অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রকের প্রধান সচিব সুধাংশু পান্ডাকে। এই চিঠি পাঠানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশনের পক্ষ থেকে। তাদের দাবি যাতে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করা হয় সেই কারণে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খাদ্য মন্ত্রী, অর্থ সচিব, কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা, খাদ্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী, সব রাজ্যের খাদ্য কমিশনার, ও খাদ্য সচিবদের এ বিষয়ে জরুরি সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে।
রেশন ডিলারদের দাবি দিন দিন রেশন দোকানের বাজার খারাপ হতে যাচ্ছে। তাই রেশন দোকানকে বাঁচাতে এমন পদক্ষেপের বিষয় ভাবতে হবে কেন্দ্র সরকারকে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিষয়ে তৎপরতা দিতে হবে। তাই রেশন ডিলার সংগঠন লাইসেন্স প্রাপ্ত মদ বিক্রির অনুমতি (Ration shops alcohol) চেয়েছে কেন্দ্র সরকারের কাছ থেকে।
রেশন ডিলার সংগঠনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে আমাদের দেশে ৫ লক্ষ ৩৭হাজার ৮৬৮টি রেশন দোকান আছে। এই দোকানগুলোর সাথে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবিকা যুক্ত আছে। এছাড়া অন্যান্য দিক দিয়ে এই দাকানের সাথে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ নির্ভরশীল। রেশন ডিলারদের দাবি, বর্তমানে রেশন দোকানের অবস্থা খুব খারাপ। তাই রেশন দোকানকে বাঁচতে বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে। তাই রেশন দোকানে মদ বিক্রির অনুমুতি চেয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের কাছে।
শুধু তাই নয় তাঁদের বিকল্প হিসাবে মদের পাশাপাশি ৫ কেজি LPG সিলেন্ডারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। রেশন ডিলাররা (Ration dealership) আশাবাদী তারা খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে সাড়া পাবে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় দিক থেকে।
রেশন ডিলার সংগঠনের প্রধান কর্মকর্তা জয়ন্ত দেবনাথ বলেন, এক একটি রেশন দোকানে প্রায় ৩-৪ জন কর্মচারী থাকেন। সব মিলিয়ে দেখলে রেশন দোকানের উপর ভিত্তি করে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। রেশন দোকানকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে কারণ যাতে এতগুলি মানুষের জীবিকা নষ্ট না হয়ে যায়। তাছাড়া তাঁদের দাবি, এই পদক্ষেপে রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় দিক থেকে সমৃদ্ধি পাবে। তাই যুক্তি দিয়ে এ বিষয়ে ভাবতে বলা হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে।