রাজ্যবাসীর জন্য দুর্দান্ত সুখবর, রাজ্য জুড়ে পুজোর সময় নেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
পুজোর সময় হবে না বৃষ্টি
গতকাল ছিল ‘মহালয়া’ অর্থাৎ দেবী পক্ষের আগমন। এখন বাংলার চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ ছড়িয়ে রয়েছে। পশ্চিম বাংলার পিতৃপক্ষেই দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি তিনি ঘোষণা করেছেন যে এবারে বাংলা ১ মাস ধরে দুর্গা পূজার উৎসব পালন করবে। মুখ্যমন্ত্রীর এমনটা ঘোষণা করার কারন হলো UNESCO বাঙালিদের কলকাতার দুর্গাপূজাকে ‘রিপ্রেসেন্টেটিভ লিস্ট অফ দ্যা ইনট্যানজিবেল কালচার হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি। আর এটি UNESCO ২০২১-এর ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল। তাই এইবারের পুজো নিয়ে কলকাতার মানুষ আলাদাই উৎসাহিত রয়েছেন। আর পুজোর জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ধুম-ধাম করে কলকাতার মানুষরা। তবে সম্প্রতি গুজব শোনা গেছিল যে পুজোর সময় মারাত্মক মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই চিন্তায় কলকাতার মানুষ দুঃখী হয়ে পড়েছিল। কারন পূজার সময় বৃষ্টি হলে মানুষ পুজোতে মজা করতে পারবে না। তবে সম্প্রতি আবহাওয়া দফতর থেকে আসা একটি সুখবর কলকাতার মানুষকে খুশি করে দিয়েছে। আসুন আর্টিকেলের মাধ্যমে জেনেনি খবরটি।
সম্প্রতি আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে পুজোর মুখে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে। তবে পুজোর মধ্যে বৃষ্টি হবে কি না সে বিষয়ে এখনও কোনও নিশ্চিত খবর নেই। তবে উত্তরবঙ্গে শনিবার ও রবিবার অর্থাৎ গতকাল পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি এবং কয়েক দফা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে শহর কলকাতায়। সারাদিন চুড়ান্ত ঘর্মাক্ত আবহাওয়ায় নাজেহাল হবেন জনতা। গত শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। সারাদিনে বৃষ্টি হয়নি। এমনকী দক্ষিণবঙ্গেও দিন ও রাতের তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি কিছু জেলায়। সারাদিন ছিল ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি। গতকালের পরিস্থিতিও একইরকম ছিল।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার ,আলিপুরদুয়ারে গতকালের আগের দিন অর্থাৎ শনিবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আর কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হয়েছে । তবে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলে জানা গেছে।
আবহাওয়ার পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল পুজো উদ্যোক্তাদের। পুজোর ঠিক মুখে তৈরি নিম্নচাপের জেরে মণ্ডপ তৈরির কাজে অনেকটাই সমস্যা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বেশ কিছুটা ব্যহতও হয়েছে পুজো মণ্ডপ তৈরির কাজ। একইসঙ্গে পুজোর শেষ মুহূর্তের কয়েকদিনের ব্যবসাও বৃষ্টির জেরে মার খেয়েছে। তবে এবার কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।