প্রতি কেজির দিম ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা, দেখুন বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম

গ্রীষ্ম কালে (summer) সবচেয়ে বেশি মানুষের যেই ফল খায় সেটা হলো ফলের রাজা আম (Mango)। গ্রীষ্মে আমের জুরিদার মেলা অসম্ভব ব্যাপার। আমের উৎকৃষ্ট গুণাগুণ, অনন্য জাত এবং চমৎকার স্বাদ এটিকে অন্যান্য ফলের থেকে আলাদা করে তুলেছে। আর গরম পরার সাথে সাথে মানুষের আচার খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকে আবার আমার আচারও তৈরি করে থাকে।

 

আর বিশেষ করে বাঙালিদের আম সবচেয়ে প্রিয় ফল। আমার নাম শুনলেই বাঙালিদের মুখ থেকে জল পরে। আর বিশেষ করে বাঙালিরা হিমসাগর-ল্যাংড়ার ‘নাড়ি-লক্ষত্রের’ খবর জানে। কিন্তু এই আম উচ্চ দামের কারণে আম বাঙালির পছন্দের তালিকায় ১ নম্বর স্থান গ্রহণ করতে পারেনি। একই কারণে দেশজুড়ে এই আমটি তেমন একটা প্রচার পায়নি। তবে বর্তমানে এই আমটি বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।

miyazaki mango is world famous for taste and high price

হিমসাগর-ল্যাংড়া-আলফোনসো আমের চাহিদা ভারতে সবচেয়ে বেশি। তবে জাপানি বংশোদ্ভূত মিয়াজাকি শুধুমাত্র স্বাদের কারণেই নয়, সবচেয়ে দামি হওয়ার কারণেও সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠছে (miyazaki mango is world famous for taste and high price)। এই আমকে মিয়াজাকি বলার অন্যতম কারণ হলো  জাপানের মিয়াজাকি শহরের একটি ফল (Japan’s Miyazaki city fruit) এটি। আর এই আমটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামী আম। এমনকি এই আম বেশ অনন্য। এই আমের রঙ লাল বা বেগুনি, আকার বিশাল ডাইনোসরের ডিমের মতো ও এর বৈজ্ঞানিক নাম Taiyo-no-tomago, যা Eggs of Sunshine।

মিয়াজাকি জাতের আমের একেকটার ওজন প্রায় ৩৫০ গ্রাম, যা বাজারে ২১,০০০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি মিয়াজাকি আমের দাম কেজিতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আমেরিকা ও ইউরোপের মতো বড় বড় দেশে মিয়াজাকি আমের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ভারতের বাজারে এই আমের চাহিদা বা বিক্রি তেমন নেই। ভারতে জন্মানো সত্ত্বেও মিয়াজাকি আম বিদেশেই রফতানি করা হয়। মিয়াজাকি আম রফতানির আগে সঠিকভাবে মান যাচাই ও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হয়। একাধিক পরীক্ষার পরে এই আম রফতানি ছাড়পত্র পায়। প্রথম দিকে অর্থাৎ আট বা নয়ের দশকে মিয়াজাকি শহরেই এই আম হতো কিন্তু চাহিদা বৃদ্ধির ফলে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন এবং ভারতের কৃষকরাও এর চাষে আগ্রহী হয়েছে।