“হর হর শম্ভু” গানে ৮ থেকে ৮০ সকলের মন কাড়া কে এই অভীলিপ্সা! জানুন তার আসল পরিচয়

'হর হর শম্ভু' এই জনপ্রিয় গানের গায়িকার আসল পরিচয়

‘হর হর শম্ভু… শম্ভু… শিব মহাদেব… শম্ভু.. শম্ভু’, এই গানটি সারাদেশের ছোট থেকে বড় সকলের মন জয় করেছে। শুধু মহাদেবের ভক্তরাই নয়, সাধারণ মানুষও এই গানের সুরে মুগ্ধ। কিন্তু জানেন কি, যার এই গান সারা দেশ মাতাচ্ছে তার গায়ক আসলে কে? এই গান রেকর্ডে রয়েছে এক রহস্য! আসুন আজকের নিবন্ধে আপনাকে এই গানের রহস্যের সম্পর্কে বলবো।

Avilipsa panda

এই গানের আসল গায়িকা হলেন অভিলিপ্সা পান্ডা (Avilipsa Panda)। যিনি ২০০১ সালে উড়িষ্যার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন। অভিলিপ্সার বাবা হলেন অশোক পান্ডা, যিনি একজন প্রাক্তন সেনা কর্মী। এবং তার মা হলেন পুষ্পশ্রী পান্ডা, যিনি পেশায় একজন শিক্ষিকা। অভিলিপ্সারা দুই বোন।

 

হ্যাঁ, অভিলিপ্সার ‘হর হর শম্ভু’ (Har Har sambhu) এই গান আজ সারা দেশে খ্যাত। ৮ থেকে ৮০ বছরের বয়স্ক পর্যন্ত এই গানে মেতেছেন। অবশ্য, অভিলিপ্সা জিতু শর্মার সঙ্গে এই গান ডুয়েটে গেয়েছিলেন। যা আজ বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলের মুখে গুণগুন সুর তুলে বেড়ায়।

Avilipsa panda

অভিলিপ্সা ছোট থেকেই গানের সাথে পরিচিত। তার ঠাকুরদা ঘরোয়া সুরশিল্পী ছিলেন। তাই তিনি শৈশব থেকেই গান পছন্দ করতেন। তিনি তার ঠাকুরদার হাত ধরে গানের জগতে পা রাখেন। যখন অভিলিপ্সার বয়স ১৭ বছর, তখন তিনি উড়িষ্যার একটি রিয়ালিটি মঞ্চে অংশ নেন। সেই সময় প্রথমে তার একটি অন্য গান ভাইরাল হয়। তারপরেই তিনি হর হর শম্ভু গানের প্রস্তাব পান।

 

এরপর ২০২২ এর এপ্রিলে তিনি হর হর শম্ভু গানটি রেকর্ড করেন। আকর্ষণীয় বিষয় হল এই গান রেকর্ডিংয়ের সময় তিনি ম্যাচিং করে ড্রেসআপ করেছিলেন। শাড়িকে ধুতির মত পড়ে, কালো টি-শার্ট আর কপালে টিকা, যা ছিল নজর কারার মত। তার এই গান প্রচুর ভাইরাল হয়ে যায়, যা এখন সকলের মুখে মুখে

https://youtu.be/ujdLmkZPb-c

তবে তার এইগান যে এতটা জনপ্রিয়তা পাবে, সে প্রথমে ভাবতেই পারেনে। তিনি বলেন, “ভেবেছিলাম এই গানে এতটা সারা পাবো না, কিন্তু এই গান আজ সকলের ঠোঁটে ঠোঁটে, এতে আমি খুশি”। হ্যাঁ, এই গানের পর থেকেই তিনি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যান।

Avilipsa panda

 

অভিলিপ্সা জানান তিনি ৮ ভাষায় গান করতে পারেন। ইংরেজি, মারাঠি, মারওয়ারি, অসমীয়া, তামিল, গুজরাটি, বাংলা ও উড়িষ্যা ভাষাতে গান করতে পারেন। এর পাশাপাশি তিনি ক্যারাটেও শেখেন। তিনি ক্যারাটে ব্লাক বেল্ট পুরস্কার পেয়েছেন। তবে তার ভবিষ্যতে ইচ্ছা তিনি সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে গবেষণা করতে চান। সমুদ্রবিজ্ঞানী হওয়া তার ইচ্ছা।