আপনার গাড়িতেও বেশি জ্বালানি ব্যবহার হচ্ছে না তো? পেট্রোল পাম্পের এই বিষয়গুলি নজরে রাখুন, নাহলে আপনিও সমস্যায় পড়তে পারেন

বর্তমানে ভারতে (India) প্রচুর মানুষ আছেন যারা কিনা দু চাকা বা চার চাকা ব্যবহার করেন। স্কুল, কলেজ (College) বা কর্মক্ষেত্রে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাতায়াত করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন গাড়ি চালানোর জন্য আপনি যে ডিজেল বা পেট্রোল ভরেন সেটি থেকে আপনার প্রতারনার সম্ভাবনা থাকে। ভারতে (India) বর্তমানে পেট্রোল পাম্পে প্রতারণার পদ্ধতিও বদলে গেছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কি

আরো পড়ুনঃ ঠিক কি কারনে বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ হননি করিশ্মা কাপুর? জানুন আসল কারণ…

পাম্পের মিটার চেক করুনঃ

গাড়িতে তেল ভরার সময় কিন্তু মনে করে পাম্পের মিটার চেক করে নেবেন। এই মিটারের মাধ্যমে আপনি জালিয়াতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কারণ পাম্পের মিটারে বিশুদ্ধতার একটি সূচকও থাকে, যার সাহায্যে বোঝা যায় আপনি যে জ্বালানি ব্যবহার করছেন সেটি বিশুদ্ধ কিনা। এই মিটারের সাহায্যে আপনি জ্বালানীর পরিমাণ ও ঘনত্ব দেখে নিতে পারবেন। 

all you need to check in petrol pump station

পেট্রোল পাম্পের মেশিনের স্ক্রিনটি দেখে নেবেনঃ

পেট্রোল পাম্পের মেশিনগুলির স্ক্রিন সবসময় দেখে নেবেন। এই মেশিনের একটি স্ক্রিনেও ঘনত্ব দৃশ্যমান হয়, যা জ্বালানির গুণমান অর্থাৎ বিশুদ্ধতাকে সরাসরি প্রতিফলিত করে। এছাড়াও আরো যে ভাগ গুলি রয়েছে তার মধ্যে একটিতে কতটা পরিমাণ পেট্রোল বা ডিজেল ভরা হয়েছে সবটাই দেখা যায়। তাই সমস্যা নেই, ভালো করে খুঁটিয়ে দেখে নেবেন।

all you need to check in petrol pump station

আরো পড়ুনঃ Optical Illusion! ভালো করে দেখুন ছবিটি, এই Alter শব্দেই লুকিয়ে আছে After, খুঁজতে পারলেই জানবেন আপনার আছে প্রখর বুদ্ধি

জেনে নিন কিভাবে পেট্রোল এবং ডিজেলের ঘনত্ব পরীক্ষা করবেনঃ

গাড়িতে যখন পেট্রোল বা ডিজেল ভরা হয় তখন সব সময় ঘনত্ব পরীক্ষা করে নেওয়াই ভালো। কারণ যদি আপনি সঠিক পরিমানে পেট্রোল না ভরেন শুধু আর্থিক দিক থেকে ঠকবেন না, আপনার গাড়িটিও খারাপ হতে পারে। মনে রাখবেন, ডিজেলের ঘনত্ব হল ৮২০ ৮৬০ kg/m3 এবং পেট্রোলের ঘনত্বের পরিসীমা ৭৩০ ৭৭০ kg/m3। আর যদি নির্দিষ্ট সীমার চেয়ে কম হয় বা বেশী হয় তাহলে এর অর্থ হল পেট্রোল পাম্পে ডিজেল ও পেট্রোলে ভেজাল রয়েছে। ওই পেট্রোল বা ডিজেল বিশুদ্ধ না। তাই সবসময় পেট্রোল ডিজেল গাড়িতে ভরার আগে এই জিনিসগুলি মাথায় রাখবেন।