ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন মাছ চাষ, এখন প্রতি সিজিনে লাভ ১০ লক্ষ টাকা

বর্তমানে এখন তরুণদের রুচি চাষাবাদে বেশি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এখনকার তরুণেরা আর ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেনা। তারা বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে চাষাবাদ করছে এবং আগের তুলনায় অনেক বেশি মুনাফা লাভ করছে। এরকমই একজন ব্যক্তি হলেন উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বী জেলার বাসিন্দা প্রখর প্রতাপ।

যিনি ঝুঁকি নিয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়ে মৎস্য চাষে নেমে পড়েন। প্রখর প্রতাপ তার বাবার ইচ্ছায় তার প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার পর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের এক কোম্পানিতে কাজও পেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে তার এই কাজের জন্য নানা জায়গায় ভ্রমণ করতে হতো। ঠিক এই সময়ই তিনি পশ্চিমবঙ্গের এই ঐতিহ্যবাহী মাছ চাষের কথা জানতে পারেন।

তিনি তার গ্রামে মাছ চাষ করার কথা ভাবেন। প্রথমে তার পরিবার তাকে সমর্থন করেননি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা তাকে সমর্থন করেন। কিন্তু যখন তিনি প্রথমবার ব্যবসায় নামেন তখন তাকে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এই ব্যর্থতা তাকে মাছ চাষ সম্পর্কে অনেক কিছু শেখায়। তিনি উত্তর প্রদেশ মেজায় বসবাসকারী আজ মৎস্য বিশেষজ্ঞকে তার গ্রামে ডাকেন।

এই বিশেষজ্ঞের সহায়তায় তিনি মাত্র চার দিনে নানা রকম সার ও কৌশল শিখে নেন। ফলশ্রুতি দ্বিতীয় বছরের দ্বিতীয় মরশুমে তিনি 10 লাখ টাকা আয় করেছেন। মৎস্য চাষে এত টাকা আয় দেখে তিনি তার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর চাকরিটি ছেড়ে দেন। সম্পূর্ণভাবে মাছের ব্যবসায় নেমে পড়েন। তিনি অন্য কৃষকদের প্রশিক্ষণও দিতে থাকেন। বিশেষজ্ঞদের মতে একটা পুকুরে মাছ চাষ সঠিকভাবে করা হলে তার থেকে 5 লাখ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। এমনকি এর জন্য সরকার ও 75% ঋণ অনুমোদন করছে। বিভিন্ন কৃষক মাছ চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।