ভিড়ের ঝঞ্ঝা থেকে মিলবে মুক্তি! বাজার এলো নতুন ফ্লাইং কার, জানুন দাম সহ বুকিং পদ্ধতি
স্যামসন স্কাই নামক আমেরিকান কোম্পানি তৈরি করে ফেললো ফ্লাইং কার বা উরন্ত গাড়ি
আমরা সবাই পেট্রোল, ডিজেল, সিএনজি কার বা যানবাহনে বিষয় তো শুনেছি বা দেখেছি। কিন্তু আপনি কখনো ফ্লাইং কারের (flying car) বিষয় শুনেছেন? হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন ফ্লাই কার বা উরন্ত গাড়ি? এবার আপনি বলবেন যে হ্যাঁ ফিল্মে অনেকবার আপনারা ফ্লাইং কার (flying car) দেখেছেন। কিন্তু বাস্তবে কি দেখেছেন? কি দেখেননি তো? তাহলে জানিয়ে দি এখন বাস্তবেও মার্কেটে এসে গেছে ফ্লাইং কার। আর আপনি চাইলে খুব সহজেই কিনতে পারবেন এই কারটি। আর এই কারটিকে আপনি যেমন রাস্তায় চালাতে পারবেন আবার আকাশেও উড়তে পারবেন এই কারে করে।
এই ফ্লাইং কারটির নাম হলো সুইচব্লেড ফ্লাইং কার (switch Blade flying car) । এই কারটি আপনি কিনতে পারবেন আমেরিকা বা মার্কিন বাজারে। জানিয়ে রাখি এই গাড়িটি আপাতত ২০০০ মানুষের জন্য বুক করা হয়ে গেছে। আর এই কারটি তৈরি করেছে স্যামসন স্কাই কোম্পানি (Samson sky company) এবং এই ফ্লাইংকার তৈরি হতে সময় লেগেছে ১৪ বছর। ডিজাইন, আর অ্যান্ড ডি (R&D) এবং ফান্ড তোলার জন্য বছরের পর বছর কাজ করার পর, স্যামসন স্কাইয়ের প্রথম উড়ন্ত গাড়িটি উচ্চ-গতির ট্যাক্সি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। এছাড়া এই ফ্লাইং কারকে ৮৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ওড়ানোর পাশাপাশি ব্রেক টেস্টিংও করা হয়েছিল।
গাড়ি নাকি প্লেন ?
যেই উরন্ত গাড়ি গুলি এতদিন মানুষ সিনেমা বা কার্টুনে দেখেছে সেগুলিকে বাস্তবে সত্যি করে দেখানো সত্যি মানুষের জন্য একটি রোমাঞ্চকর ব্যাপার। কিন্তু এই ফ্লাইংটি এখনো অসুম্পূর্ণ রয়েছে। কারণ এই ফ্লাইং ব্যবহার করার জন্য রানওয়ের প্রয়োজন পড়বে। অর্থাৎ আইনের প্রটোকল অনুসরণ করেই উড়ানো যাবে এই ফ্লাইং কারটিকে। অর্থাৎ কারটির টেক-অন ও টেক-ডাউন একটি প্লেনের মতোই হবে।
কোথায় ওড়ানো যাবে এই কার ?
ফ্লাইং কার তৈরি সংস্থা জানিয়েছে যে এই কারটি যেখানে খুশি উড়তে পারবে। কিন্তু বাস্তবে একদমই তা নয়। আসল ব্যাপার হলো বর্তমানে আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই উরন্ত কার গুলির জন্য কোনো বিশেষ সুবিধা তৈরি হয়নি। এ ছাড়া গাড়ির মালিকরা কীভাবে বিমানবন্দরে তাঁদের স্লট বুক করবেন, সেই তথ্যও এখনও জানা যায়নি।
আপনার নিজের গাড়ি তৈরি করতে হবে?
সুইচব্লেড আকাশের জন্য একটি পরীক্ষামূলক হোমবিল্ট এয়ারক্রাফ্ট হিসাবে রেজিস্টার করা রয়েছে। যখন রাস্তায় এটি একটি কাস্টম মোটরসাইকেল বা কিট কার হিসাবে রেজিস্টার। অর্থাৎ যাঁরা এই ফ্লাইং কার কিনবে তাদের নিজেদের কারটি তৈরি করে নিতে হবে। ফ্লাইং কার তৈরি করা সংস্থা জানিয়েছে যে সাধারণ মানুষের এই কার তৈরি করতে ২০০০ ঘন্টা সময় লাগবে। কিন্তু কোনো ব্যক্তি চাইলে স্যামসন বিল্ডার অ্যাসিস্ট সেন্টারের (Samson builder asistent center) সাহায্য নিতে পারে। সেন্টারের সাহায্য নিলে ফ্লাইং কারটি তৈরি করতে সময় লাগবে ১ সপ্তাহ।
একটি লাইসেন্স খুব প্রয়োজন হবে ?
গাড়ি চালানোর লাইসেন্স তো অনেক মানুষের কাছে রয়েছে। কিন্তু এই ফ্লাইং কার চালানোর জন্য গাড়ির লাইসেন্সের পাশাপাশি বিমান চালানোর লাইসেন্সও লাগবে। অর্থাৎ কার ও বিমান উভয় লাইসেন্স লাগবে। তবে কোম্পানি জানিয়েছে যে তার গাড়ি বুক করা লোকদের মধ্যে ২০ শতাংশ নন-পাইলট।
দাম কত ফ্লাইং কারের?
আপনি নিশ্চই ১ কোটি কিংবা ২ কোটি কারের কথা শুনেইছেন। এই ফ্লাইং কারের দামও সাধারণ কারের থেকে খুব একটা বেশি নয়। এই ফ্লাইং কারের দাম হলো ১.৭ লাখ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১.৩৫ কোটি টাকা। এটা যদিও আনুমানিক মূল্য।