আমিরের এই নোংরা স্বভাবের জন্যই সম্পর্ক ভাঙ্গেন কিরণ! চঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
আমিরের এই স্বভাবকে নিন্দা জানিয়েছেন স্ত্রী কিরণ রাও, এটাই কি সম্পর্ক বিচ্ছেদের মুখ্য কারণ
আমির খান (Amir khan) যিনি তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের জন্য খবরের শিরোনামে প্রায়ই এসে থাকেন। কিন্তু আজকে তিনি লাইমলাইটে এসেছেন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যের জন্য। তার শেষ ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার পরেই বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। কয়েক মাস হল আমির খান ও কিরণ রাওয়ের (Amir Khan And Kiran rao) বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। সম্প্রতি, আমির খানের এমন একটি আচরণ ফাঁস হয়েছে, যেখানে নেটিজেনরা তার বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ বলে মনে করছে।
গত বছর আমির খান ও কিরন রাওয়ের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের সম্পর্কে জানিয়েছিলেন, তারা দীর্ঘদিন আলোচনা করার পরেই যৌথভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু বিচ্ছেদের আসল কারণটা সামনে আনেনি তারা। এদিকে নেটিজেনদের কয়েকজন মনে করেন, আমির খানের এক নোংরা স্বভাবের জন্যই তার স্ত্রী বিরক্ত হতেন।
আসলে এক সাক্ষাৎকারে, ‘ধোবি ঘাট’ ছবির প্রচারের সময় ২০১১ সালে তাঁদের ব্যাক্তিগত জীবন (Amir Khan Personal Life) নিয়ে কথোপকথনের সময় তার এই স্বভাবের কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। তার স্বভাবটি হল, “তিনি নাকি নিয়মিত স্নান করেন না, শুধু তাই নয় তিনি স্নান না করেই বাইরের বেরিয়ে যেতেন, পরেও স্নান করার নাম করতেন না তিনি।” এক সাক্ষাৎকারে আমির ও কিরণ কথোপকথনের সময় এই তথ্য জানিয়েছিলেন। অভিনেতার প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছিলেন আমিরের এই স্বভাবটি প্রচুর আছে।
পরক্ষণে মুচকি হেসে স্ত্রীর (Amir’s Wife) কথায় জবাব দিয়ে আমির বলেছিলেন, “এটা মোটেও না। যখন আমাকে কাজের জন্য বাইরে বেরোতে হয় তখন স্নান করেই বাইরে বের হই। আর যখন বাড়িতে থাকি বা ছুটি কাটাই তখন স্নানের সময়টা পিছিয়ে নিয়ে যাই। কখনো কখনো তাও হয়ে ওঠে না। এই কথা স্বীকার করেছিলেন আমির।
এখান থেকে নেটিজেনদের একাংশ দাবি করেন, “কে জানে তাদের সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ এটাই নয়।” এই সময় থেকেই আমির খানের বিবাহিত জীবন (Amir Khan married Life) সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ আলোচনায় ছিল। যদিও কিরন জানিয়েছিলেন তিনি আমিরকে জীবনে পেয়ে খুব খুশি। তাদের সম্পর্ক ছিল বন্ধুর মতো। আমিরের প্রথম দাম্পত্য জীবন কেটেছিল মাত্র ছয় মাস। তারপর কিরণের সাথে দীর্ঘ ১৬ বছর বিবাহিত জীবন উপভোগ করার পর সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয় আমিরের।