এটি বিশ্বের দ্রুততম যাত্রীবাহী ট্রেন, চাকা নয় চলে চুম্বকের সাহায্যে

বিশ্বের দ্রুততম যাত্রীবাহী ট্রেন

ট্রেনে (Train) তো সবাই নিশ্চয়ই অনেকবার ভ্রমণ করেছেন। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে, এক্সপ্রেস হওয়া সত্ত্বেও, সিগন্যাল না পেয়েও যে কোনো স্থানে ট্রেন থামে। যার কারণে আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই নষ্ট হয়। এমতাবস্থায় আপনার মনে একটা ইচ্ছা জাগতেই পারে যে, যদি এমন একটা ট্রেন (Train) থাকত, যেটা দ্রুত গতিতে গন্তব্যে নিয়ে যাবে তাহলে কেমন হয়! আজ বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন (Train) সম্পর্কে বলা হবে। যার গতির কথা শুনলে আপনি অবাক হবেন।

Magnetic train

বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন

এই ট্রেনটি (বিশ্বের দ্রুততম পাবলিক ট্রেন) ভারতের প্রতিবেশী দেশ চীনে চলে। এই ট্রেনের নাম সাংহাই ম্যাগলেভ ট্রেন। এই ট্রেনটি সাংহাইয়ের পুডং বিমানবন্দরকে লংইয়াং রোড স্টেশনের সাথে সংযুক্ত করে। এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৬০ কিমি। নয়ডা থেকে এলাহাবাদ পর্যন্ত ৭০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে এক্সপ্রেস ট্রেনে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা সময় লাগে। তবে এই সুপার স্পিড ট্রেনের মাধ্যমে আপনি প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় একই দূরত্ব অতিক্রম করতে পারবেন।

ট্রেনে লোহার চাকা নেই

এই ট্রেনের দ্বিতীয় বিশেষ বিষয় হল এই ট্রেনটি ঐতিহ্যবাহী লোহার চাকা দিয়ে চলে না বরং ম্যাগনেটিক (Magnetic) লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) দিয়ে চলে। সহজ কথায়, ট্র্যাকগুলিতে একটি চৌম্বকীয় প্রভাব রয়েছে এবং ট্রেনটি ট্র্যাকের একটু উপরে বাতাসে থাকে। ট্র্যাকগুলির চৌম্বকীয় (Magnetic) প্রভাবের কারণে, এটি এখান থেকে ওখান সরে না এবং কোনও শব্দ না করেই দ্রুত গতিতে যায়।

চীন জার্মানর এই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে

এই ম্যাগলেভ প্রযুক্তিটি মূলত জার্মানির, যা চীন গ্রহণ করেছিল। এই প্রযুক্তির কারণে, যাত্রীরা একটি অতি মসৃণ এবং ঘর্ষণমুক্ত রাইড উপভোগ করতে পারবেন। চীনের এই ম্যাগলেভ ট্রেনটি গত প্রায় এক দশক ধরে চলছে এবং এখন এটি তার নিজস্ব ম্যাগলেভ ট্রেন প্রতি ঘন্টায় ৬০০ কিলোমিটার গতিতে প্রস্তুত করেছে।

Magnetic

অগ্রিম বুকিং দিতে হয়

এই ট্রেনের দৈর্ঘ্য ১৫৩ মিটার, উচ্চতা ৪.২ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৭ মিটার। এই ট্রেনে মোট ৫৭৪ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবেন। এই ট্রেনে ৩ ধরনের কোচ রয়েছে, যার মধ্যে প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি এবং শেষ বিভাগ রয়েছে। এই ট্রেনে ভ্রমণের জন্য আগে থেকেই বুকিং দিতে হয়। শুধু চীনারা নয়, বিশ্বের দ্রুততম ট্রেন উপভোগ করতে চীনে পৌঁছে যান বিদেশিরাও।