প্রকৃতির কোলে সময় কাটানোর জন্য আজই ঘুরে আসুন মিনি অযোধ্যাতে, একবার গেলে ফিরতে চাইবে না মন
প্রকৃতির কোলে সময় কাটানোর জন্য আজই ঘুরে আসুন মিনি অযোধ্যাতে
আজ কিছু দিন পরেই রাজ্য থেকে বিদায় নেবে শীত। ঘটবে গ্রীষ্মের আগমন। শীতের বিদায় নিয়ে যদিও এখনো কিছুটা সময় বাকিং এর এই টুকু সময়ের মধ্যেই অনেকেই ভ্রমণ করতে চান। তাঁদের জন্য আজ এক সুন্দর জায়গার সন্ধান দেবে। যেটি রয়েছে এই পশ্চিম বাংলারই বাঁকুড়া জেলায় (Bankura District)। এই এলাকার মনোমুগ্ধকর আবহাওয়া আপনার মনকে ভালো করে তুলবে। চলুন জেনে নিন বাঁকুড়ার এই জায়গাটি সম্পর্কে। যেখানে আপনি পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
আজ কথা বলবো বাঁকুড়ার তপোবন আশ্রম (Tapoban Ashram) নিয়ে। বাঁকুড়া থেকে যে রাস্তা ধরে অমরকান যাওয়া যায়, সেই পথেই পড়বে এই আশ্রমটি। এখানে পৌঁছাতে গেলে ছোট একটু সেতু পর করে কিছুটা যেতে হবে। দেখতে পাবেন হেডিং করে বড় বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে ‘মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম’ । এই হেডিংটি চোখে পড়ল বুঝবেন আপনি সঠিক গন্তব্যে পৌঁছেছেন।
গরমের সময় বাঁকুড়ার উষ্ণতা চরমে থাকে। তাই শীতের কিছু দিন হাত থাকতে থাকতে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গায়। ‘মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম’ হেডিং-এর পাশ দিয়ে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে এই আশ্রমের আরেকটি শাখায়। এই শাখাটির নাম উত্তম আশ্রম (Uttam Ashram)। বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি থানার কাপিস্টা গ্রামে (Kapista Village) অবস্থিত রয়েছে তপোবন পাহাড় (Tapoban Pahar)। যাকে অনেকে কোড়ো পাহাড় (Koro Pahar) নামেও চেনেন। এই পাহাড়ের বুকেই রয়েছে উত্তম আশ্রম। এখানকার সুন্দর পরিবেশ ও পাখিদের ডাক আপনার মন ছুঁয়ে যাবে। মন ভালো করার জন্য জায়গাটি সত্যিই উত্তম।
উত্তম আশ্রম ছাড়িয়ে কিছুটা এগিয়ে গেলে সিঁড়ির দেখা মিলবে। যেগুলো দেখলে মনে হবে এগুলি আকাশের সঙ্গে মিশে গিয়েছে। সাক্ষাৎ স্বর্গের সোপান। যেগুলোর দু ধরে রয়েছে গাছের সারি। এই সিঁড়ি দিয়ে গেলেই পৌঁছে যাবেন তপোবন পাহাড়। আর এই পাহাড়ের মাথায় রয়েছে অষ্টভূজা মা পার্বতীর মন্দির। কথিত আছে নেতাজিও নাকি এই অঞ্চলে এক সময় এসেছিলেন শুশ্রূষার জন্য। তবে তাঁর কোনো ঐতিহাসিক প্রমান নেই। পরিবার নিয়ে একদিন এই পাহাড়ি এলাকায় ঘুরে আসাই যায়।