ষাঁড় দিয়ে চালানো হয়েছিল বিশ্বের প্রথম ট্রেন, সেই ট্রাকেই চলবে হাই স্পীড ট্রেন!

পরিবহন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসাবে গণ্য করা হয় রেল পরিষেবাকে। এই রেল্পথেই প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছে যান অনেক কম খরচায়। ভারতের ইতিহাসে রেলের গুরুত্ব যে কতটা তা আলাদা করে বলার কিছু নেই। দৈনন্দিন জীবনে মানুষের যাত্রাকে সুগম ও সস্তার পরিষেবা প্রদানে রেলের বিকল্প কিছু হয় না।

তবে জানেন কি, গায়কওয়ার বারোদা স্টেট রেলওয়ে (Gaekwar Baroda State Railway) শুধুমাত্র ভারতেরই নয়, বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্রীয় রেলপথ। বিশ্বের প্রথম ন্যারোগেজ রেললাইনটি ১৮৬২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়াঙ্গাম কার্জন থেকে ডাভোইয়ের মধ্যে দুটি ষাঁড় দ্বারা চালু করা হয়েছিল।

img 20230308 130650

প্রথমে এটি দুটি বলদ দ্বারা টেনে আনা হয়, তারপর ইংল্যান্ড থেকে ৩টি বাষ্পীয় ইঞ্জিন (দাভই-1,2,3) আনা হয়। এটি বাষ্প ইঞ্জিন দিয়ে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু ইঞ্জিনের ভারী ওজন এবং এই রেললাইনের দুর্বলতার কারণে ইঞ্জিনটি চলতে পারেনি। তারপরে পুরো রেললাইনটিকে একটি শক্তিশালী রেল লাইনে পরিবর্তন করা হয়েছিল, তার পরে ইঞ্জিনটি চালানো হয়েছিল।

কয়েক বছর আগে যখন অনেক এমজি ও এনজি রেললাইন বন্ধ ছিল, তখন এই রেললাইনটিও বন্ধ ছিল। কিন্তু, এখন ভারতীয় রেলওয়ে তার গেজ সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে এটিকে একটি ব্রডগেজ বানিয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে এর সিআরএস পরিদর্শনও করা হয়েছিল। কিছু ছোট-খাটো বাকী কাজ অবশ্যই সম্পন্ন হচ্ছে। এর পরই এই ট্র্যাকে রেল চলাচল শুরু হবে।

img 20230308 130626

এর জন্য মিয়াগাম কার্জনে দুটি প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। একটি প্ল্যাটফর্ম স্বাভাবিক, কিন্তু একটি প্ল্যাটফর্ম একটি কার্ভ টাইপ, যার অর্থ ইংরেজির সি (C) অক্ষরের মত বলা যেতে পারে, একটি অর্ধবৃত্তের মতো। সারা দেশে C টাইপের মাত্র কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে। এই মিয়াগাম থেকে ডাভোই ন্যারোগেজ রেললাইনটির প্রস্থ ৭৬২ MM, এটি ছিল বিশ্বের প্রথম ট্রেন। এর আগে, এই প্রস্থের প্রথম ট্রাম ১৮২৯ সালে ইংল্যান্ডে চলেছিল।