১৮০০ কোটি টাকার কোম্পানি বিক্রি হল মাত্র এত টাকায়, মাথায় হাত রতন টাটার

টাটা গ্রুপের পূর্ব চেয়ার ম্যান রতন টাটা (Ratan Tata) আজ বিখ্যাত একটি নাম। গোটা বিশ্বে তার নাম খুব সম্মানের সাথে উল্লেখ করা হয়। লন্ডনে রতন টাটাকে “স্যার”- এর উপাধি দেওয়া হয়েছিল। আর তবে থেকেই তিনি স্যার রতন টাটা (Ratan Tata) হিসেবে বিখ্যাত হয়ে যান। রতন টাটা ব্যবসা জগতে যেই চূড়ায় পৌঁছেছেন সেখান পর্যন্ত যাওয়ার সপ্ন প্রতিটি মানুষ দেখে থাকে।
১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের চেয়ার ম্যানের পদ রতন টাটা সামলানোর পর কোম্পানির রেভিনিউ ৪০ গুণ বৃদ্ধি পায় ও প্রফিট ৫০ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়। রতন টাটা প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার ট্যাক্স দেয় ও নিজের কামাইয়ের অনেকটা অংশ দান করে দেয়। রতন টাটার পড়াশোনা, কেরিয়ারের আরম্ভ থেকে টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান হওয়ার গল্প অনুপ্রেরণা দায়ক। ২০১৯ সাল অনুযায়ী রতন টাটার কোম্পানির মূল্য ১৮০০ কোটি টাকা। বলা যেতে পারে তিনি ভারতে ও বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি।
তবে সম্প্রতি রতন টাটার সময় খারাপ যাচ্ছে। মাত্র ৩ বছরেই শেষ হয়ে গেছে কোম্পানির পথ চলা। বলতে গেলে একেবারে জলের দরে বিকিয়ে গেল কোম্পানি। ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে টাটা গ্রুপের কোম্পানিকে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে বেঙ্গালুরুভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানি নেস্টঅ্যাওয়ে, যা ভাড়ায় ফ্ল্যাট বা বাড়ি সরবরাহ করে, ওরাম প্রোপটেক তার মূল্যায়নের চেয়ে ৯৫ শতাংশ কম দামে অধিগ্রহণ করেছে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটির মূল্য ছিল ১৮০০ কোটি টাকা, কিন্তু বিক্রি হয়েছে মাত্র ৯০ কোটি টাকায়। ৩ বছরে কোম্পানির গ্রাফ এতো দ্রুত হ্রাস পাওয়ার কারণ হলো কোভিড-১৯। জানিয়ে দি ওরাম কোম্পানি, যা এটি অধিগ্রহণ করেছিল সেটি গত বছর হেলো ওয়ার্ল্ড নামে একটি স্টার্টআপ কিনেছিল। সংস্থাটি সবার প্রথম নেস্টঅ্যাওয়ে ও পরে ওরাম কিনেছিল। কিন্তু এখন নেস্টঅ্যাওয়ে কিনেছে। জিতেন্দ্র জগদেব এবং ইসমাইল খান যারা হেলো ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা তারাই এখন নেস্টঅ্যাওয়ের দায়িত্ব নেবেন।
একটি বিবৃতি জারি করে ওরাম জানিয়েছে যে নেস্টঅ্যাওয়েতে আরো ৩০ কোটি বিনিয়োগ করতে চলেছে। অমরেন্দ্র সাহু, দীপক ধর, স্মৃতি পরিদা ২০১৫ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আর সবার শেষে কোম্পানি যে তহবিল পেয়েছিল সেই সালটি হলো ২০১৯। সেইসময় এর মূল্য ছিল ২২.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ আজকের সময় প্রায় ১৮৫৪ কোটি টাকা। তবে কোভিড-১৯ মহামারির সময় বাড়ি থেকে কাজ করে বাড়ি ফেরা মানুষের ব্যবসার ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছিল। কোভিড-১৯-এর পূর্বে ওয়েবসাইটে ৫০,০০০ সম্পত্তি ছিল এবং সংস্থাটি বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় করেছিল নেস্টঅ্যাওয়। কিন্তু বর্তমানে অর্থাৎ কোভিডের পর এই সম্পত্তির পরিমাণ গিয়ে দাড়িয়েছে ১৮,০০০ এবং রাজস্ব ৩০ কোটিতে নেমেছে।