ভারত-পাক সীমান্ত থেকে আটক এক মহিলা! নিরাপত্তা সংস্থাগুলির যৌথ তদন্তে প্রকাশ এই তথ্য

সম্প্রতি দিনগুলোতে সামাজিক মাধ্যম (Social Media) মানুষের কাছে বিনোদন বা খবর আদান-প্রদানের বিশেষ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যেকোনো খবর প্রতিনিয়ত মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক মাধ্যমের পাতায়। এবারও একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে, যা ভারত-পাকিস্তান (India -Pakisthan) সীমান্তবর্তী এলাকার। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার কথা শুনলে মানুষের মধ্যে রহস্যের চিন্তা প্রবেশ করে, আর সেটা যদি হয় ভারত পাকিস্তান সীমান্ত তাহলে তো কথাই নেই। রিপোর্ট অনুযায়ী যতদূর জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি জয়সালমেরের সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকার।

জয়সালমেরে’র (Jaisalmer) কাছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আটক সন্দেহভাজন মহিলা, যিনি স্যাম এলাকার বাসিন্দা। যৌথ তদন্ত কমিটির তদন্তে জানা যায়, সন্দেহভাজন ওই মহিলা (৩৫) ও তার বাবা মলুক খান একই এলাকার বসবাস করেন। জানা যায় আটক করা ওই মহিলার নাম ‘কায়মা’, যিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বের হন। সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করতে গিয়ে ধরা পড়ে বিএসএফে’র (BSF) হাতে। বিএসএফ তাকে স্যাম থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

জয়সালমের সেক্টর সংলগ্ন ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের ফাঁড়ির কাছে মোতায়েন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের ১৫৪ বিএন ব্যাটালিয়নের সৈন্যরা কায়মা’কে আটক করেছিল। রবিবার রাত ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকাবর্তী ফাঁড়ির কাছে কায়মাকে সীমাবদ্ধ এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করা সন্দেহভাজন ভারতীয় মহিলাকে থামানোর ইঙ্গিত দিয়ে আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী তার নাম বলেছে ‘খানী’। এছাড়া মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় মহিলাটি সঠিকভাবে কিছু বলতে পারছিলেন না। তার কাজগুলো ছিল পাগলের মতো। সন্দেহভাজন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, BSF স্যাম থানায় হস্তান্তর করে। এরপর স্যাম থানা সন্দেহভাজন মহিলাকে যৌথ তদন্ত কমিটির কাছে হস্তান্তর করেছে। যেখানে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তদন্তের পরে কায়মাকে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।