একসময় মাত্র ১০ হাজার টাকার মাইনের চাকরি করা যুবক আজ ৭৫০ কোটি টাকার কোম্পানির মালিক

আজকাল বেশিরভাগ মানুষ চাকরির থেকে বেশি ব্যবসার (Business Idea) প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এমনকি এখন এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষ তার মোটা টাকা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করা শুরু করছে (now people resign the 9 to 5 job and show interest in business) ও সফলও হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় মানুষ ব্যবসা করার ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসে কারণ ব্যবসা করতে গেলে অনেক মোটা অংকের মূলধনের প্রয়োজন হয় যা সবার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু যারা মূলধনের অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না ভয় পাচ্ছেন তাদের জন্য আজ আমরা একটি অনুপ্রেরণা দায়ক সত্যিকারের গল্প নিয়ে এসেছি যা আপনাকে সাহস দেবে আপনাকে আপনার সফলতার পথে এগিয়ে যাওয়ার। তবে আসুন দেরি না করে জেনেনি UPI money transfer application ” Paytm” এর মালিক বিজয় শেখর শর্মার (Vijaya shekhar Sharma) সফলতার যাত্রার বিষয় (Success story)।
একটা সময় ছিল যখন বিজয় শেখর শর্মা মাসে মাত্র ১০,০০০ টাকা আয় করতো। তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার। ২০০৪ সালে একটা ছোট কোম্পানির সাহায্যে বিজয় মোবাইল কনটেন্ট বিক্রি করতেন। কিন্তু বর্তমানে নিজের পরিশ্রম দ্বারা তিনি ২.৫ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি তৈরি করে নিয়েছে। জানিয়ে দি বিজয় শেখর শর্মার জন্ম হয়েছিল উত্তর প্রদেশের, আলীগড় জেলায়। তার পিতা একজন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন ও মাতা ছিলেন গৃহিণী। বিজয় শেখর আলীগড়ের একটি ছোট শহর হারদুয়াগঞ্জের একটি হিন্দি মিডিয়াম স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর দিল্লি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। আর বর্তমান সময়ে ফোর্সের কোটিপতিদের তালিকায় উঠে এসেছে বিজয় শেখর শর্মার নাম।
১৯৯৭ সালে বিজয় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় IndiaSite.net নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেছিলেন এবং সেটিকে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এরপর ২০০০ সালে তিনি ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড- এর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যেখানে ক্রিকেট ম্যাচের স্কোর, কৌতুক, রিংটোন এবং পরীক্ষার ফলাফলের মতো খবর জানানো হতো। এই ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড হল Paytm-এর পেরেন্ট কম্পানি।
Paytm app এর শুরু হয়েছিল প্রায় ১ দশক আগে। তখন এটি ছিল শুধুমাত্র একটি মোবাইল রিচার্জ কোম্পানি। কিন্তু Uber যখন এই কোম্পানিকে ভারতে তার পেমেন্ট পার্টনার করে, তখন থেকে Paytm কোম্পানির ভাগ্য বদলে যায়। কিন্তু ২০১৬ সালে ভারত হঠাৎ একদিন উচ্চ নোট নিষিদ্ধ করে এবং ডিজিটাল পেমেন্টের বিষয়টিকে উৎসাহিত করতে শুরু করে যার ফলে Paytm-এর আরো বেশি উন্নতি হতে শুরু করে আর এই কোম্পানি আরো বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।