সৌন্দর্যের নতুন ঠিকানা! আজই গরমে ঘুরে আসুন ‘এই’ হিল স্টেশন থেকে একবার গেলে বাড়ি ফিরতে চাইবে না মন

দেশে ভ্রমণ প্রেমীদের (Travel Lover) সংখ্যা কম নয়। তারা সুযোগ পেলেই চেষ্টা করে ছুটির দিনগুলোকে কোন বিশেষ স্থানে কাটাতে। ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে স্মরণীয় করে রাখতে ভ্রমণ পিপাসুরা সুন্দর মনের মতন জায়গা খোঁজ করেন। কারো পাহাড় পছন্দ, কারো সমুদ্র বা কারো জঙ্গল। তবে, আজকের প্রতিবেদনে যে ভ্রমণ স্থান সম্পর্কে জানবো, তা আপনার পর্যাটনের সেরা ঠিকানা হতে পারে। এখানে একবার গেলে আর ফিরতে চাইবে না মন। তো চলুন যেনে নেওয়া যাক উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) এমনই কিছু অসাধারণ ভ্রমন স্থান সম্পর্কে।

মুসৌরি

‘পাহাড়ের রানী’ নামে পরিচিত, মুসৌরি হল উত্তরাখণ্ড পর্যটন শিল্পের গর্ব এবং রাজ্যের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। মুসৌরির নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের এই সত্যটি স্বীকার করতে বাধ্য করে যে, প্রকৃতি এই বিস্ময়কর পর্যটন স্পটটির ক্যানভাস এঁকেছে। অস্থির হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত, মুসৌরিও ট্রেকিং এবং প্যারাগ্লাইডিং এর মত অনেক দুঃসাহসিক কার্যকলাপ সহ রোমাঞ্চ সন্ধানকারীদের জন্য একটি স্বর্গ তৈরি করে।

চৌকরি

আপনার যদি স্বাভাবিক বিরতির প্রয়োজন হয়, তবে কুমায়ুন হিমালয়ের চৌকোরি দেখার জন্য একটি আদর্শ জায়গা। এটি উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলায় অবস্থিত। চৌকরি পাঁচচুলি চূড়ার নিরবচ্ছিন্ন দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। এটি তার সুন্দর চা বাগান, সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্যের জন্যও পরিচিত। চৌকরি একটি দুর্দান্ত গন্তব্য যা পারিবারিক ছুটির জন্য এবং এমনকি একা ভ্রমণের জন্যও উপযুক্ত।

গাঙ্গোলিহাট

গাঙ্গোলিহাট হল ভারতের উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলার একটি ছোট হিমালয় পাহাড়ী শহর। এটি হাট কালিকা সিদ্ধপীঠের জন্য বিখ্যাত। আদিগুরু শঙ্করাচার্য এই সিদ্ধপীঠ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

দারমা ভ্যালি

এটিও পর্যটকদের জন্য দুর্দান্ত ভ্রমণ স্থান। এটি দারচুলার পঞ্চচুলি পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত। দারমা উপত্যকা ভারতের অন্যতম সুন্দর স্থানগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।

ব্যাস ভ্যালি

এই স্থানের নদী, পাহাড়, সবুজ বনভূমি যেন পৃথিবীতেই স্বর্গের ছোঁয়া দিয়েছে। এই পর্যটন স্থল অবস্থিত চীন সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। এখান থেকে কৈলাস মানস সরোবরও পৌঁছনো যায়।

চণ্ডক

চণ্ডক একটি সুন্দর ধর্মীয় পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত, যা হিমালয়ের কোল থেকে সাত হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। হিমালয় পর্বতশৃঙ্গের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায় এখান থেকেই। একটি ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে যে, দেবী দুর্গা এখানেই অসুরকে বধ করেছিলেন।