এই বিশেষ মদ তৈরি হয় জীবন্ত সাপকে ডুবিয়ে রেখে! নাম জানা আছে কি এই পানীয়র? রয়েছে ঔষধি গুণ
আপনি যদি সুরা (Alcohol) প্রেমী হন, তাহলে হয়তো বিভিন্ন ধরনের অ্যালকোহল(Alcohol) সম্পর্কে শুনেছেন বা পান করেছেন। কিন্তু আপনি কি কখনও সাপের ওয়াইন (Snake Wine) সম্পর্কে শুনেছেন? কল্পনা করুন, আপনি এমন একটি মদ পান করছেন যা সরাসরি একটি বোতল থেকে ঢেলে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে একটি সাপ রয়েছে। একে স্নেক ওয়াইন বলা হয়। চাইনিজ স্নেক ওয়াইনের উৎপত্তি পশ্চিম ঝো রাজবংশের (1046-771 খ্রিস্টপূর্বাব্দ)। যেখানে এটি ঔষধি সুবিধার জন্য ব্যবহৃত হত বলে জানা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্নেক ওয়াইন কী এবং এটি সেবন করা নিরাপদ কিনা?
স্নেক ওয়াইন (Snake Wine) বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুত করা হয়, তবে সবচেয়ে বিখ্যাত হল একটি সম্পূর্ণ সাপকে রাইস ওয়াইন বা অন্য কোনো অ্যালকোহলের জারে রাখা। অনেক সময় একটি জীবন্ত সাপকে একটি বয়ামে ভরে কয়েক মাস একসঙ্গে গাঁজনে রেখে দেওয়া হয়। কিছু বিশেষ ভেষজ এবং মশলাও ওয়াইন জারে যোগ করা হয়, যাতে এটিতে কিছু অদ্ভুত স্বাদ থাকে। এই স্নেক ওয়াইন তৈরির আরেকটি উপায়ে সাপের প্রকৃত রক্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাপকে মেরে ফেলার পর এর রক্ত ও পিত্ত অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশে যায়, যা ঘটনাস্থলেই গ্রাহককে তাৎক্ষণিকভাবে পান করতে হয়।
এটা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, একটি খাঁটি উৎস থেকে কেনা হলে স্নেক ওয়াইন পান করা সম্পূর্ণ নিরাপদ। যদিও বিষাক্ত সাপগুলি প্রস্তুতিতে ব্যবহার করা হয়, তবে রাইস ওয়াইনে ইথানলের উপাদান সাপের বিষকে নিষ্ক্রিয় করে। বিরল ক্ষেত্রে, সাপগুলি হাইবারনেশন মোডে যেতে পারে এবং কয়েক মাস ওয়াইনে ভিজিয়ে রাখার পরেও বেঁচে থাকতে পারে। এমন একটি ঘটনা ২০১৩ সালে রিপোর্ট করা হয়েছিল, একটি সাপ একজন মহিলাকে কামড় দিয়েছিল যখন সে সাপ ডোবানো মদের বয়াম খুলেছিল। ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, কারণ সাপটি তিন মাস ধরে সংরক্ষণ করা হয়েছিল কিন্তু তখনও সে জীবিত ছিল।
স্নেক ওয়াইন ভিয়েতনাম, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ চীনে বেশ জনপ্রিয়। এটি পুরানো বাজার এবং ঐতিহ্যবাহী সাপের রেস্তোঁরাগুলিতেও পাওয়া যায়। বাড়িতে তৈরি ওয়াইন বা সন্দেহজনক বিক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা এড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ তাদের প্রস্তুতির পদ্ধতি স্বাস্থ্যের জন্য অনিরাপদ বা বিপজ্জনক হতে পারে। এই ওয়াইনের স্বাদ বেশ শক্তিশালী, এবং এটি কিছুটা মিষ্টি স্বাদ দেয়। এতে সাপের উপস্থিতি এটিতে মাছ বা মুরগির মতো স্বাদ যোগ করে।