সাপ ও মাছের ন্যায় শারীরিক গঠন, সমুদ্র থেকে বেরিয়ে এলো ১৬ ফুট লম্বাকার দৈত্য! আতঙ্কে মানুষজন

পরিবেশে এমন অনেক প্রানী দেখা যায় যা আমরা আগে কনো দিন দেখি নি বা তাদের সম্বন্ধে জানি না। সম্প্রতি সমুদ্র উপকূলে একটি প্রাণী দেখা গেছে। দেখতে পাওয়া ১৬ ফুট লম্বা এই প্রাণীটির ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এই প্রাণীটিকে ‘দানব’ বলেও আখ্যা দিচ্ছে। রূপালী রঙের এই প্রাণীটি দেখতে সাপ আবার মাছের মতো।
পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে, যাদের সম্পর্কে এখনও সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় নি। এমতাবস্থায় এই প্রাণী সামনে আসাতে অবাক নেট পারা। অদ্ভুত চেহারার এই প্রাণীটিকে দেখে ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ৫ অক্টোবর, মেক্সিকোর সিনোলা উপকূলে (মেক্সিকো, সিনোল) দেখা ১৬ ফুট লম্বা এই প্রাণীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।
আসলে, কয়েকদিন আগে চিলির উপকূলেও দেখা গিয়েছিল এই সামুদ্রিক প্রাণীটিকে। লোকেরা এটির চেহারাটিকে খারাপ লক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করছে।
আসলে, কয়েকদিন আগে চিলির উপকূলেও দেখা গিয়েছিল এই সামুদ্রিক প্রাণীটিকে। রূপালী রঙের এই প্রাণীটি দেখতে সাপ এবং মাছের মতো। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুসারে, এই প্রাণীটি একটি অরফিশ (Oarfish), যা সমুদ্রের গভীরে থাকে এবং খুব কমই জলের পৃষ্ঠে আসে।
এই প্রাণী কম আলোতে থাকতে পছন্দ করে।
সমুদ্রে ভূমিকম্প (Earthquake in Sea) হলেই এই প্রাণীটি আপনাআপনি জলের উপরে চলে আসে। যে কারণে ভূমিকম্প ও সুনামির আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয় মানুষ। জাপানে এই প্রাণীটি ‘রিউগো নো সুকাই’ নামে পরিচিত। এই নামের অর্থ সমুদ্র দেবতার প্রাসাদ থেকে বার্তা। জাপানে, এটি ভূমিকম্পের সাথেও যুক্ত। তবে ভূমিকম্প তত্ত্বের কোনো সুস্পষ্ট বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এটি তখনই দেখা গেছে যখন ভূমিকম্পের সাথে সমুদ্রের পৃষ্ঠে একটি মাছ উঠে আসে।