স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার এসব এখন অতীত, নতুন এই প্রকল্পে দু’লক্ষ টাকা দিচ্ছে সরকার, সুযোগ নিতে চান?

রূপশ্রী, কন্যাশ্রী,খাদ্য সাথী, স্বাস্থ্য সাথী ও লক্ষীর ভান্ডার এসব এখন অতীত। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা ব্যানার্জি’র (Mamata Banerjee) উদ্যোগে শুরু হল এক নতুন প্রকল্প। তরুণদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রধান বিষয় হল, তাদের জীবনের সঠিক সময়ে চাকরি খুঁজে না পাওয়া। আর এই বিষয়কেই মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের নতুন উদ্যোগ। আজ এই নিবন্ধে, আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা চালু করা “কর্ম সাথী” (Karma Sathi) প্রকল্প সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিবরণ শেয়ার করব। আজকের আলোচ্য বিষয়ে এই নতুন প্রকল্পের প্রতিটি দিক বর্ণিত হবে, যা সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা চালু করা হয়েছে।

swasthya sathi scheme

 

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার দ্বারা ঘোষিত প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া:

বঙ্গ রাজ্যের বেকারত্বের পরিসংখ্যান বের করার জন্য, রাজ্য সরকার কর্ম সাথী প্রকল্প স্কিম নিয়ে এসেছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ‘শ্রী অমিত মিত্র’ সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রকল্পটি চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই স্কিমটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তরুণ যুবকদের যারা কর্মসংস্থানের সুযোগ অর্জন করতে সক্ষম নয়, তাদের প্রণোদনা প্রদান করা হবে।

এতদিন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Govt.) বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বাসিন্দাদের সহায়তা করেছেন। তবে এবার সকল উদ্যোগকে হার মানাবে এই নতুন প্রকল্প। ‘কর্ম সাথী’ (Karma Sathi) প্রকল্পের জন্য দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। রাজ্যের যুবকরা চাকরি না পেলেও যাতে স্বাবলম্বী হতে পারেন তার জন্য এই প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

karma sathi prakalpa

 

স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য অর্থটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থ না থাকলে যে কেউই দিশেহারা হয়ে পরেন। বিশেষ করে যুব সমাজের ক্ষেত্রে রোজগার না করতে পারাটা সবথেকে বড় সমস্যার। এমন অবস্থায় বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী ও প্রতিষ্ঠিত করতে রাজ্য সরকার কর্ম সাথী (Karma Sathi) প্রকল্পের বাস্তবায়ন করতে চলেছে। আশা করা হচ্ছে, আগামীতে এই প্রকল্পের মাধ্যমে বেকারত্বের সংখ্যা অনেক কমে যাবে।