রাসায়নবিদ থেকে শুরু করে রুজিরুটির জন্য করেছেন পাহারাদারের কাজও, কয়েক মুহূর্তেই ভাগ্য বদলে গেল নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর
বলিউডের সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং বিস্ময়কর অভিনেতা বলা হয় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে (nawazuddin siddiqui)। প্রায় ১৫ বছরের সংগ্রামের পর বিটাউনে নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন এই অভিনেতা। আজকের দিনে নিজের অভিনয় দক্ষতার জোরে অনেক বড় বড় চিত্র পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে।
এই সাফল্য কখনই তাঁর একদিনে আসেনি। অনেক কঠিন পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে আজকের দিনে এই জাগায় পৌঁছেছেন এই অভিনেতা। জীবনে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীনও হতে হয়েছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীকে, যখন তাঁর কাছে দুবেলা দুমুঠো খাবার খাওয়ার জন্য কোন অর্থ ছিল না।
জীবনের এই খারাপ সময়ে কখনও করেছেন পাহারাদারের কাজ, আবার কখনও বা রাসায়নবিদের কাজ। সাত ভাই বোনের সংসারে তাঁর বাবা ছিলেন একজন কৃষক এবং মা গৃহবধূ। তাঁদের পরিবারের কেউ চলচ্চিত্রে অভিনয় করা তো দুরস্তর, চলচ্চিত্রের নাম নেওয়াই খারাপ বলে মনে করতেন। তাঁর বাবা চাইতেন, অনেক পড়াশুনা করে জীবনে বড় হোক নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। তবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের অভিনয়ই, বদলে দিয়েছে তাঁর জীবন।
১৯৯৯ সালে আমির খান, সোনালি বেন্দ্রে অভিনীত ‘সারফারোশ’ চলচ্চিত্রে খুবই সামান্য একটি চরিত্র করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। কিন্তু এই চলচ্চিত্রের কথা অনেকেই জানেন না। তবে পরবর্তীতে অনুরাগ কাশ্যপের ‘গ্যাংস অফ ওয়াসেপুর’ চলচ্চিত্রে ফয়জলের চরিত্রে অভিনয় তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর নিজেকে প্রমাণ করতে খুব বেশি সময় লাগেনি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকীর, দিতে থাকেন একের পর এক হিট চলচ্চিত্র উপহার।
জানিয়ে রাখি, হরিদ্বারের গুরুকুল কাংরি ইউনিভার্সিটি থেকে কোনোরকমে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে চাকরির জন্য অনেক ঘুরেছিলেন বলি অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী। কোনোভাবে বরোদার একটি পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানিতে রাসায়নিক পরীক্ষার কাজ পেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এই বিপজ্জনক কাজ ছেড়ে দিয়ে দিল্লিতে গিয়ে পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। সেইসময় তাঁর নাটক দেখতে যাওয়ার আগ্রহ থেকেই জীবন বদলে যায়।