NASA চাঁদ ছুয়েছিল মাত্র ৪ দিনে, তবে চন্দ্রযান ৩-র কেন ৪০ দিন? কি বলছে বিজ্ঞানীরা

চন্দ্রযান-৩, ১৪ই জুলাই পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে, অবতরণের শেষ পর্যায়ে উদ্ভূত সমস্যার কারণে, চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদের পৃষ্ঠে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এই মিশনটি যদি সফল অবতরণ দেখতে পায়, তবে ভারত হবে মাত্র চতুর্থ দেশ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পরে যারা এটি করেছে। ইসরোর (ISRO) তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই চন্দ্রযানটি চাঁদে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় ৪০ দিন। সেই মোতাবেক আগস্ট মাসের ২৩ অথবা ২৪ তারিখ চাঁদে পৌছাবে চন্দ্রযানটি।

যদিও এর আগে NASA‘র অ্যাপলোর চাঁদে পৌঁছতে সময় লেগেছিল মাত্র ৪ দিন। সেই হিসেবে ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান অনেক বেশি সময় নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ ব্যাখ্যা করেছেন যে, ইসরোর কাছে চন্দ্রযান ৩-কে সরাসরি চাঁদের পথে পৌঁছে দেওয়ার মতো শক্তিশালী রকেট নেই। জানা যায়, অ্যাপলো মিশনের ক্ষেত্রে ট্রান্সলুনার ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়েছিল। যেটি অ্যাপলো মহাকাশযানটিকে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রথমে নিয়ে যায়।

রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে, চন্দ্রযান ৩ একেবারেই অন্য গতিপথ অনুসরণ করছে। যা ধীরে ধীরে এই মহাকাশ যানের গতি বাড়বে ‘ইঞ্জিন বার্ন’-এর মাধ্যমে। প্রথমে পৃথিবীর প্রাথমিক কক্ষপথে প্রবেশ করবে এই মহাকাশযানটি, এবং তারপর প্রবেশ করবে চাঁদের কক্ষপথে। যতদূর জানা যাচ্ছে, এই বৃহত্তর পরীক্ষার ক্ষেত্রে ইসরো পৃথিবী এবং চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ব্যবহার করছে।

চাঁদে পাঠানো এই মহাকাশযানটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে আলতোভাবে অবতরণ করবে। রিপোর্ট বলছে, এতদিন পর্যন্ত কোন চন্দ্রযান চাঁদের এই অংশে পৌঁছাতে পারেনি। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতারণ করবে চন্দ্রযান-৩। এবং চন্দ্রযানটি সেখান থেকে ছবি তুলে পাঠাবে পৃথিবীতে। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মহাকাশ গবেষণায় অনেক বড় সাফল্য আসতে পারে।