Mobile আবিষ্কারক নিজেই করেন না ফোনের ব্যবহার, বিশ্ববাসীকে দিলেন এই উপদেশ

Mobile আবিষ্কার করে নিজেই ফোন থেকে দূরে থাকেন মার্টিন কুপার

আজকাল উঠতে-বসতে স্মার্ট ফোন (Smart Phone- Mobile) ছাড়া যেন চলেইনা। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখা, ব্যাবসার কাজ,পড়াশোনা করা ক্ষেত্রে ফোন অবশ্যই অপরিহার্য। কিন্তু সেখানেই টুইটার (Twitter), ফেইসবুক (Facebook) স্ক্রল করা, বা অন্তহীন রিল ভিডিওগুলির সাথে বিনোদন থাকতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় অতিবাহিত করছেন নতুন প্রজন্ম এবং যুব সমাজ। এটা একদমই অস্বীকার করা যাবে না নতুন প্রজন্ম মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়েছে এবং প্রয়োজনের তুলনায় মোবাইলের পিছনে বেশি সময় ব্যয় করছে তারা। আর একারণেই খোদ মোবাইলের উদ্ভাবক মার্টিন কুপার (Martin Cooper) পরামর্শ দিয়েছেন যে, যারা ডিভাইসে খুব বেশি সময় ব্যয় করছেন, অবিলম্বে তারা যেন ব্যাবহার কম করেন। আসুন জেনে নিন এব্যাপারে তিনি কি জানিয়েছেন-

martin cooper mobile

আমেরিকান সায়েন্টিস্ট (American scientist) তথা বিশ্বের সর্ব প্রথম ওয়ারলেস মোবাইল ডিভাইস (wireless mobile device) -এর আবিস্কারক মার্টিন কুপার (Martin Cooper)। সম্প্রতি তিনি একটি চ্যাট শো তে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, যে সব ব্যাক্তিরা দৈনিক পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় মোবাইলের পিছনে ব্যয় করেন, তাদের উদ্দেশ্যে তিনি কী বলবেন। প্রথমত, প্রশ্ন শুনেই অবাক হয়ে যান বিজ্ঞানি। পরে সামলে নিয়ে বলেন “তারা কি সত্যিই দিনে পাঁচ ঘন্টা ব্যয় করেন? আমি বলব তাদের স্ক্রোল করা বন্ধ করে জীবনযাপন করা উচিত।”এছাড়াও মিঃ কুপার সাক্ষাত্কারের সময় ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তিনি সম্ভবত তার ফোনে দিনে পাঁচ শতাংশেরও কম সময় ব্যয় করেন।

জানিয়ে দিই, মার্টিন কুপার ১৯৭০-এর দশকে প্রথম মোবাইল ফোনের বিকাশের জন্য মটোরোলা(Motorola)কোম্পানিতে উদ্ভাবনী দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন। এরপর ১৯৭৩ সালে, তিনি ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হন যিনি, তার যুক্ত টেলিফোনের বিকল্প হিসাবে একটি হ্যান্ডহেল্ড সেলুলার ফোন (handheld cellular mobile) আবিষ্কার করেছিলেন। যারকারণে আজ সারা বিশ্বে তিনি পরিচিত। একিসঙ্গে মটোরোলায় কাজ করার সময়, তিনি প্রথম কোম্পাক্ট পুলিশ রেডিও সিস্টেম সহ অনেক নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনেও সহায়তা করেছিলেন।

Martin Cooper first to make cell phone

১৯৫০ সালে ইলিনয়িস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (Illinois Institute of Technology) থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন কুপার। স্নাতক ডিগ্রী শেষ করে কোরিয়ার যুদ্ধের (Korean War) সময় মার্কিন নৌবাহিনীর সংরক্ষিত বাহিনীতে সাবমেরিন অফিসার হিসাবে যুক্ত হন তিনি। এরপরে ১৯৫৭ সালে আইআইটি থেকেই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ২০০৪ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে রয়েছেন।