পাকিস্তান তো সবার জানা, কিন্তু ভারত ভেঙে ভাগ হয়েছে আরও ১১ টি দেশ! বলতে পারবেন?

মোঘল ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতন ঘটিয়ে ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয় ভারতবর্ষ (India)। প্রথম অবস্থায় ভারত অখণ্ড ছিল। পরবর্তীতে রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণের ভিত্তিতে অখন্ড ভারতকে খন্ড করা হয়। সম্প্রতি দিনগুলোতে সামাজিক মাধ্যমের পাতায় অখন্ড ভারতের দাবি নিয়ে অনেক পোস্ট দেখতে পাওয়া যায়। এবং দেশ ভাগ নিয়ে অনেক তর্ক- বিতর্ক চলে মানুষের মধ্যে। তবে জানেন কি ভারত থেকে ঠিক কোন কোন দেশগুলোকে বিভক্ত করা হয়েছিল? আজকের প্রতিবেদনে জানবো সেই দেশগুলি সম্পর্কে, যেগুলো প্রাচীনকালে অখন্ড ভারতের অংশ ছিল।

পাকিস্তান (Pakistan)

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর ধর্মের‌ ভিত্তিতে ভাগ করা হয় দুটি দেশে, একটি হিন্দুস্তান (ভারত) ও অন্যটি পাকিস্তান। হিন্দুদের দেশ ভারত এবং পাকিস্তান মুসলিমদের দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। পরবর্তীতে আবার পাকিস্তান ভাগ হয়ে একটি অংশ তৈরি হয় বাংলাদেশ।

নেপাল (Nepal)

রিপোর্ট বলছে, ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ দখল করতে পারলেও নেপালকে কখনো নিজেদের দখলে আনতে পারেনি। ব্রিটিশ শাসন শুরু হওয়ার পর থেকেই নেপাল একটি আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠে। তবে, বারংবার নেপালকে- ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন নেপালের রাজা। কিন্তু ভারত সরকার এটি নাকচ করেছিল।

মায়ানমার (Myanmar)

এক সময় ব্রহ্মদেশ নামে পরিচিত ছিল মায়ানমার। প্রাচীন যুগে এই দেশটিও ছিল ভারতের অংশ। ব্রিটিশ শাসনামলে ভারতকে দুর্বল করার জন্য মায়ানমারকে আলাদা করে দেয়া হয়েছিল।

ভুটান (Bhutan)

প্রাচীন সময়ে ভারতেরই অংশ ছিল ভুটান। কিন্তু ব্রিটিশ রাজত্ব ভারতকে গ্রাস করার পর, ১৯০৬ সালে ভুটানকে ভারত থেকে আলাদা করে‌ দিয়েছিল।

শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)

শ্রীলঙ্কা, প্রাচীন ভারতের অংশ ছিল। হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ রামায়ণেও উল্লেখ রয়েছে এই দেশের কথা। ১৯৩৫ সালে ভারত থেকে বিভক্ত হয়ে যায়এই দেশটি।

আফগানিস্তান (Afghanistan)

প্রাচীনকালে ভারতের একটি অংশ ছিল আফগানিস্তান। বর্তমানে এটি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। মহাভারতে উল্লেখ রয়েছে এদেশের কথা।

তিব্বত (Tibet)

বর্তমানে, তিব্বত দেশটি চীনের অংশ হলেও, একসময় ভারতেরই একটি অংশ ছিল। ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর চীন দখল করে নিয়েছিল এই দেশটি।

মালয়েশিয়া (Malaysia)

মালয়েশিয়ার অনেক জায়গায় আজও হিন্দু দেবদেবীর পূজা করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, প্রাচীনকালে এই দেশের ভাষা ছিল সংস্কৃত এবং ব্রাক্ষ্মী।

থাইল্যান্ড (Thailand)

ইতিহাস বলছে প্রাচীনকাল থেকেই ভারতের অংশ ছিল থাইল্যান্ড। সেই জন্য আজও অনেক হিন্দু মন্দির ও বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে থাইল্যান্ডে। এই মন্দিরগুলো নির্মিত হয়েছিল বহু প্রাচীন কালে।

কম্বোডিয়া (Cambodia)

ভারতীয় সংস্কৃতি আজও লক্ষণীয় এখানকার মানুষের মধ্যে। এক সময় এখানকার মানুষের প্রধান ভাষা ছিল সংস্কৃত, এবং ভগবান শিবে’র (মহাদেব) পূজা করতেন তারা। তথ্য বলছে, প্রাচীনকালে কম্বোডিয়াও ছিল ভারতের অংশ।

ভিয়েতনাম (Vietnam)

এই দেশের প্রাচীন নাম ছিল ‘চম্পা’। পরবর্তীতে ভিয়েতনাম হিসেবে পরিচিতি পায় দেশটি। এখানে অবস্থিত বহু প্রাচীন হিন্দু মন্দিরগুলো প্রমাণ দেয় যে, প্রাচীনকালে এখানে অগণিত হিন্দুদের বাস ছিল। যদিও বর্তমানে এই দেশ হিন্দু সংখ্যা শূন্য।