কাজের ফাঁকে ছুটি পেলে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই স্থানে, সুন্দর প্রকৃতির সঙ্গে থাকছে ট্রেকিং করার আনন্দও
একটানা কাজের ফাঁকে দু-একদিনের ছুটি পেলে, অনেকেই ব্যাগপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণের উদ্দেশ্যে। ভ্রমণ প্রিয় মানুষ শুধুমাত্র একটা ছুটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। আর সেই ছুটি হাতে পেলেই, প্ল্যান করে বেরিয়ে পড়েন কেউ পাহাড়, কেউ সমুদ্র, কেউ বা আবার জঙ্গলে।
তবে পাহাড় প্রেমী মানুষদের জন্য রয়েছে দুর্দান্ত এক ভ্রমণ স্থানের বিবরণ। যেখানে আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পাবেন পাহাড়ের অপরূপ শোভা। সেইসঙ্গে আপনার যাত্রাপথের রাস্তায় পড়ে থাকবে অসংখ্য রডোডেনড্রন ফুল। এই অফবিট জায়গাটি হল বারসি রডোডেনড্রন অভয়ারণ্য (barsey rhododendron sanctuary)। সিকিমের এই স্থানে ট্রেকিং করে আপনি ভ্রমণের আসল মজা উপভোগ করতে পারবেন।
৩৮ টি জাতির রডোডেনড্রনের মধ্যে সিকিমের এই অরণ্যে দেখতে পাবেন ১৯ টি রকমের ফুল। পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় হলেও, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সিকিম রয়েছে প্রথম স্থানে, যেখানে প্রচুর পরিমাণে এই রডোডেনড্রন ফুল দেখতে পাওয়া যায়। বিশেষত বছরের এপ্রিল থেকে মে মাসে এই স্থানে ঘুরতে গেলে আপনার ট্রিপটা খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পারবেন।
আবার প্রতিবছর সিকিম সরকার নিয়ম করে রডোডেনড্রন ফেস্টিভ্যাল চালু করেছে। যার ফলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই রডোডেনড্রনের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। সেইসঙ্গে এই এলাকায় অজস্র পাখি এবং রেড পান্ডাও দেখতে পারবেন আপনি।
এবার জানাই, এই স্থানে বেশকিছু রিসর্ট রয়েছে। আপনি চাইলে এখানে রাতে থাকতেও পারেন। এখানে সবকিছু ঘোরার জন্য মাথাপিছি আপনার প্রায় ৭০০০ টাকা করে খরচা পড়বে। তবে এই স্থানে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে পৌঁছাতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে গ্যাংটক গিয়ে সেখানে চাইলে একরাত কাটিয়ে তারপর ১৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তবেই পৌঁছাতে পারবেন বারসি রডোডেনড্রন অভয়ারণ্যে। এখানে যাওয়ার পূর্বে কিছুটা রাস্তা আপনি চাইলে ট্রেক করেও যেতে পারেন। তবে বয়স্ক মানুষদের ট্রেক না করাই উচিত।