যেতে হবে না পার্লার, লাগবে না কোন দামী ক্রিম, প্রতিদিন এই কাজ করলে, রূপ খুলবে আপনার!
সুন্দর কোমল এবং উজ্জ্বল ত্বক (skin) পাওয়ার জন্য কত কিই না করে অনেকে। কেউ ব্যবহার করেন কোন বিশেষ ধরনের ক্রিম (cream), কেউ বা আবার স্পেশাল ট্রিটমেন্ট (Treatment)। নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য সর্বদাই কিছু না কিছু করে চলেছেন অনেকেই। তবে শুধুমাত্র এই ধরনের স্ক্রিম ব্যবহার কিংবা কোন স্কিন ট্রিটমেন্টই শুধু নয়, এমন কিছু যোগাসন রয়েছে, যা করলে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি ত্বকও উজ্জ্বল থাকবে।
পবনমুক্তাসন (Pavanamuktasana)- সোজা হয়ে শুয়ে পরে দুই পা বুকের কাছে টেনে ধরে পা চেপে ধরে থাকতে হবে। যদি প্রথমে দুটো পা একসঙ্গে চেপে ধরতে সমস্যা হয়, তখন একটা পা ধরতে হবে। এই আসন করার ফলে রক্তসঞ্চালণ বেড়ে গিয়ে মুখের দাগ ছোপ চলে যাবে এবং হজম ক্ষমতা অনেক বেড়ে যাবে।
ত্রিকোণাসন (Trikonasana)- এই আসন করার ফলে শরীরের উপরের অংশে রক্তসঞ্চালণ বেড়ে যায়। যার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে গিয়ে ত্বক ভালো হয়ে যায়। দু-পা দুদিকে স্ট্রেচ করে দাঁড়িয়ে দু-হাত কাঁধ বরাবর সোজা করে তুলে কাঁধের সঙ্গে হাত সমান্তরাল ভাবে রেখে ডান দিকে পায়ের পাতা ছুঁয়ে অন্য হাতটি বিপরীত দিকে সোজা করে রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এভাবে কিছুক্ষণ করার পর আবার বিপরীত দিকে করতে হবে। কিছুদিন করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
ভুজঙ্গাসন (Bhujangasana)- উপুড় হয়ে শুয়ে মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে দুই হাত বুকের পাশে রেখে শরীরের সামনের অংশ তুলে হাতের পাতায় ভর দিয়ে দৃষ্টি সোজা ও দুটি পা সোজা রাখতে হবে কিছুক্ষণ। এর ফলে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে এবং রক্তসঞ্চালণ ঠিক থাকার ফলে হরমোন জনিত ত্বকের সমস্যা দেখা দেয় না।
উত্তনাসন (Uttanasana)- দেহের হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা, মুখের পেশি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করার পাশাপাশি এই আসিন প্রতিদিন করার ফলে মুখে, ঘাড়ে এবং মাথায় রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এই আসনের ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তারপর দু-হাত মাথার দুপাশে তুলে শরীর সামনে দিকে ঝুঁকিয়ে মাথা হাঁটুতে ছোঁয়ানো চেষ্টা করতে হবে। যার ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
বিপরীত করণী (Viparita Karani)- মুখের রক্তসঞ্চালণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে ও ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়। সেই কারণে প্রথমে প্রথমে সোজা হয়ে শুয়ে পরে দু হাত সোজা করে তুলে কোমরের নীচে বালিশ দিয়ে দেওয়ালের সোজাসুজি পা তুলে দিয়ে হাত দিয়ে ভর দিতে হবে। কিছুক্ষণ এইভাবে থাকার পর পা নামিয়ে নিতে হবে।