রেল স্টেশনে নাপিতের কাজ করেন বাবা, হকি খেলে পরিবারের নাম উজ্জ্বল করল মেয়ে

ইতিহাস সৃষ্টি করছেন বিহারের ‘খাগদিয়া’র এই মেয়ে। খুবই সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিহারের ‘হকি’ (Hocky) খেলোয়াড় “মীনাক্ষী” (Minakshi) আজ তার ভাল পারফরম্যান্সের কারণে রাজ্য দলের অন্যতম অংশ। অন্ধ্রপ্রদেশের ‘কাকিনাডা’য়, মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত জুনিয়র মহিলা হকি জাতীয় প্রতিযোগিতায় খাগদিয়ার মেয়ে মীনাক্ষী বিহার দলের অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছিলেন।

মীনাক্ষীর বাবা সঞ্জয় ঠাকুর ‘মানসী’ (Manshi) জংশনের (রেল স্টেশন) কাছে নাপিতের কাজ করেন। আর্থিক অবস্থা এমন নয় যে নিজের সেলুন খুলতে পারেন। মীনাক্ষীর মা সরিতা দেবী একজন গৃহিণী। ৫ ভাইবোনেদের মধ্যে বড় মীনাক্ষী। সে একজন অতুলনীয় হকি খেলোয়াড়, তিনি চমৎকার গোলকিপিং করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময়, ২০১৮ সালে মীনাক্ষী হকি খেলা শুরু করেছিলেন।

মীনাক্ষী ‘বেগুসরাই’য়ের জিডি (GD) কলেজে বিএ (B. A) দ্বিতীয় পর্বের (ইতিহাস) ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও খুবই পারদর্শী তিনি। প্রথমবারের মতো তিনি মুজাফফরপুরে অনুষ্ঠিত রাজ্য স্তরের (১৭ বছরের কম) স্কুল হকি প্রতিযোগিতায় ‘খাগরিয়া’র হয়ে গোলরক্ষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি মীনাক্ষীকে।

২০১৯ সালে কেরালায় অনুষ্ঠিত জুনিয়র মহিলা হকি প্রতিযোগিতায় মীনাক্ষীর পারফরম্যান্স অসাধারণ ছিল বলে জানা যায়। তারপর ২০২১ সালে, মীনাক্ষী ঝাড়খণ্ডের সিমডেগায় অনুষ্ঠিত ১১ তম জুনিয়র মহিলা হকি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বিহার দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই প্রতিযোগিতায় বিহার দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল।