ভুলে যান ফ্লাইং কারের কথা! এবার হাওয়ায় উড়বে নৌকো, এই উড়ন্ত নৌকা’র বিশেষ বৈশিষ্ট্য জেনে চমকে যাবেন আপনিও
ফ্লাইং কারের কথা! এবার হাওয়ায় উড়বে নৌকো

দিন যত আধুনিক (Modern) হচ্ছে বিজ্ঞান (Science) তত উন্নত হচ্ছে। আসলে দিন আধুনিক হওয়ার পিছনে রয়েছে রয়েছে বিজ্ঞানের হাত। আজ বিজ্ঞান খুবই উন্নত। যা এক সময় মানুষের কল্পনায় ছিল, তা আজ বিজ্ঞানের দৌলতে বাস্তব হয়েছে। মানুষ এক সময় আকাশে উড়ার কল্পনা করতো। বিজ্ঞান সেই কল্পনা সত্য করেছে উড়োজাহাজ বানিয়ে। এবার আরেকটি কল্পনা সত্য হতে যাচ্ছে। এতদিন মানুষ নৌকা জলে চলতে দেখেছে। তবে ভবিষ্যতে এমন এক নৌকা আসতে চলেছে, যা বাতাসে উড়তে সক্ষম। চলুন প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।
আসলে ইতালীয় (Italiyo) এক ডিজাইন ফার্ম লাজারিনি (Farm Lazarini) ভবিষ্যতের জন্য একটি নৌকার ডিজাইন করেছে। এটি খুবই বিলাসবহুল ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। এর বিশেষত্ব হলো, এটি শুধু জলে চলবে এমন নয়। এটি বাতাসে উড়তেও পারবে। এমন ভাবেই বিলাসবহুল ইয়ট ডিজাইন করা হয়েছে। এই ইয়টের আরো বেশ কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। যেমন এটি ৫০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট, যা হিলিয়ামের মধ্য দিয়ে চলবে। অন্যদিকে এটি কার্বন ফাইবার দ্বারা নির্মাণ করা হবে। এতে দুটি ইয়ট থাকবে, যা একে অপরের সঙ্গে সেতু দ্বারা সংযুক্ত।
প্রসঙ্গত, হিলিয়াম গ্যাস ভর্তি দুটি বেলুন লাগানো থাকবে এই ইয়টে। যেহেতু হিলিয়াম গ্যাস বাতাসের থেকে হালকা, ফলে সহজেই বেলুনের সাহার্যে ইয়টটি বাতাসে ভেসে থাকতে পারবে এবং ইয়টে থাকবে বৈদ্যুতিক প্রপেলার। যা এটিকে উড়তে সাহার্য করবে। জানিয়ে রাখি, এটি বাতাসে ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত উড়তে সক্ষম হবে। এই ইয়টে থাকবে বিলাসবহুল সুবিধা। যেমন এখানে একটি বড় ডাইনিং হল থাকবে। এর উপরে থাকবে একটি হেলিপ্যাড। এছাড়া একটি সুইমিং পুলও থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
যাত্রীদের বসার ক্ষেত্রেও ভালো ব্যাবস্থা রয়েছে। এই ইয়টে থাকবে মোট ১১টি কেবিন। যেখানে মোট ১২ জন যাত্রী আরামের সঙ্গে বসতে পারবেন। সূত্র মারফত খবর, এই ইয়টটি তৈরি করতে প্রায় ৬৩ মিলিয়ন থেকে ৫১ বিলিয়ন অর্থ খরচ হবে। তবে এই ইয়টে যাতায়াতের জন্য যাত্রীদের কত অর্থ খরচ করতে হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।