চাকরি ছেড়ে শুরু করেন নিজের ব্যবসা, আজ MBA মৎস্যজীবী আয় করছেন লাখ লাখ টাকা

আজ দেশের সব থেকে বড় সমস্যার কারণ হলো বেকারত্ব। আর যাদের হাতে চাকরি আছে তারা নিজেদের যায় দ্বারা সন্তুষ্ট নয়। এমনবস্থায় কিছু লোক পরিস্থিতির কাছে হার মেনে যায় আর কিছু লোক পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে সফলতা অর্জন করেই ছাড়ে। লড়াই করে সফলতা অর্জন করার তালিকায় একটি নাম হলো নিশান্ত কুমার। ইনি রাচির, রাতুর বাসিন্ধা। নিশান্ত তার দুজন পার্টনারের সাথে মিলে মৎস চাষের ব্যবসা শুরু করেন এবং ২০১৮ সালে  mba করার পর ১০ বছর যেই কম্পানিতে চাকরি করতেন সেই চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর যেই ব্যবসা করতে চাইতেন তার বিষয় তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবসা শুরু করেন এবং আজ নিশান্ত ও তার পার্টনাররা লাখ লাখ টাকা মাসে আয় করছেন।.

নিশান্ত বর্তমানে বায়োফ্লক, কলম কালচার, জলাশয় ও পন্ড কালচারের মাধ্যেমে শুধু উপার্জন করছে তা নয়, তারা লোকেদের রোজগার দিচ্ছে ও অনুপ্রেরিতও করছে। মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে মাছ চাষ করে তারা শুধু উপার্জনই করছে না, কর্মসংস্থান ও মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে। নিশান্ত ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে মৎস চাষের কৌশল শিখেছেন এবং এখন তিনি ৭৪ টি বায়োফ্লক ও অন্যান্য পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ কেজি মাছ বাজারে বিক্রি করছেন। এই ব্যবসা করে মাসে ১১ লাখের বেশি আয় করেন নিশান্ত ও তার পার্টনার্সরা।

সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় যখন নিশান্তকে তার কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তখন তিনি জানান যে তিনি অনেক ধরনের মাছ লালন-পালন করেছেন। আর এই ব্যবসার জন্য পুকুরের প্রয়োজন নেই, আর্টিফিসিয়াল ট্যাঙ্কে মাছ চাষ করা সম্ভব। একটি আর্টিফিসিয়াল টাঙ্কিকে বায়োফ্লক বলে। এই টাঙ্কিতে ১৫ হাজার লিটার জলে ৩০০ টি মাছ ভালো ভাবে ধরে যেতে পারে।

নিশান্ত জানিয়েছেন তিনি একসাথে রোহু, কাতলা, মৃগাল কার্প, সিলভার গ্রাস কার্প, দেশি মাঙ্গুর, পাঙ্গাস, মনোসেক্স তেলাপিয়া, ভিয়েতনামি এবং গোল্ডেন কার্প সহ অনেক মাছ উৎপাদন করে। এই ট্যাঙ্কে মাছ লালন-পালন করতে মাসে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয় এবং মাছ গুলি তৈরি ৩ মাস মতো সময় লাগে। আর যখন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম মতো মাছ তৈরি হয়ে যায় তখন ওজন অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করা হয়। নিশান্ত আরও জানিয়েছেন যে তিনি গুজরাটে তার বড় কোম্পানি স্থাপন করতে চান যেখানে তিনি আরও বেশি লোককে নিয়োগ করতে পারেন এবং বড় আকারে মৎস চাষ করবেন।