ছবি তৈরীর খরচও পুনরুদ্ধার করতে পারেনি, মুখ থুবড়ে পড়েছিল বক্স অফিসে, তালিকায় ২০২৩ সালের এই ৫টি বড় ছবি

প্রেক্ষাগৃহে যেকোনো ছবি দুটি অংশে প্রদর্শিত হয়। একটি ছবির প্রথম অর্ধেক এবং একটি দ্বিতীয়ার্ধ থাকে। একইভাবে এক বছরকে দুই ভাগে ভাগ করলে এই বছরের প্রথমার্ধ পার হয়ে গেছে। এবং এই সময়ে অনেক ছবি মুক্তিও পেয়েছে। ‘পাঠান’ (Pathan) এবং ‘তু ঝুঁটি মে মক্কর’-(Tu Jhuthi Mai Makkar) এর মতো ছবিগুলি বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করেছে। কিন্তু এমন কিছু ছবিও ছিল, যেগুলো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। তার উপার্জন তার পরিবেশের মতো ছিল না। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ছবিগুলো সম্পর্কে।

কিসি কা ভাই কিসি কি জান

সালমান খান (Salman Khan) একজন বড় তারকা। তার ছবি মুক্তি নিয়ে তুমুল হৈচৈ হয় সবসময়। ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-(Kisi ka bhai kisi ki jaan) এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এর গানের সাহায্যে একটি তুমুল গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। এর ছবির বাজেট প্রায় ১২৫ কোটি টাকা বলে জানা গেছে। সালমান খান ছবিতে থাকলে ১২৫ কোটির এই ছবিটি অন্তত ২০০ কোটি আয় করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু এই ছবিতে তা হয়নি। রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে ছবিটির মোট সংগ্রহ ছিল ১১১ কোটি টাকা। যদিও বিশ্বব্যাপী ছবিটির আয় ছিল অবশ্য ১৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু সালমান খানের বিশ্বাসযোগ্যতা অনুযায়ী এই আয় খুবই কম।

আদিপুরুষ

এই বছরের সবচেয়ে বড় ছবি বক্স অফিসে তোলপাড় করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর প্রথম বাজেট ছিল ৫০০ কোটি টাকা। তারপর VFX উন্নত করতে ১০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। মোট বাজেট হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবিটি তার প্রথম ১৮ দিনে বিশ্বব্যাপী মাত্র ৩৯০ কোটি সংগ্রহ করেছে। এবং ভারতে ছবিটি আয় করেছে মাত্র ২৮৫ কোটি টাকা।

সেলফি

অক্ষয় কুমার অতীতে ক্রমাগত ফ্লপ ছবি দিয়েছেন। এবারের ‘সেলফি’ (Slfi) ও এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। এই ছবির ভাগ্য এমন ছিল যে ছবিটি বাজেটের ২৫ শতাংশও আয় করতে পারেনি। ছবিটির বাজেট ছিল প্রায় ১০০ কোটি টাকা। কিন্তু রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সেলফি’ ভারতে মাত্র ১৭ কোটি টাকা আয় করতে পেরেছে। বিশ্বব্যাপী এর আয় ছিল ২৪.৬০ কোটি টাকা। মানে চলচ্চিত্রটির বিদেশে ব্যবসা ছিল মাত্র ৭.৬০ কোটি টাকা। এর আগেও অক্ষয় অনেক ফ্লপ ছবি দিলেও ‘সেলফি’র মতো দুর্যোগ খুব কমই দেখেছেন।

ভোলা

যখন ইন্ডাস্ট্রিতে সবার ছবি ফ্লপ হচ্ছিল, তখন অজয় ​​দেবগন (Ajoy Devgan) ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ‘দৃষ্টিম 2’-এর মতো বড় হিট উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু এবারের ‘ভোলা’ (Bhola) তা করতে পারেনি। ছবিটি যে ফ্লপ হয়েছে তা নয়। কিন্তু মুক্তির আগে যেভাবে ছবিটির প্রচার ও পরিবেশ তৈরি হয়েছে, ছবিটি সে অনুযায়ী আয় করতে পারেনি। এটি ছিল অজয় ​​দেবগনের একটি উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। পরিচালনাও করেছেন তিনি নিজেই। ‘ভোলা’-এর বাজেট ছিল ১০০ কোটি টাকা। ভারতে ছবিটি আয় করেছে মাত্র ৯০ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাপী সংগ্রহ ছিল ১২৩ কোটি টাকা। ১০০ কোটির বাজেটে তৈরি অজয় ​​দেবগনের ছবির জন্য এই সংগ্রহ খুবই কম।

শেহজাদা

অজয় দেবগনের মতো, কার্তিক আরিয়ানও (Kartick Ariyan) সমস্ত ফ্লপের মধ্যে ‘ভুল ভুলাইয়া 2’-(Bhul Bhulaya-2) এর মতো হিট ছবি দিয়েছেন। তখন থেকেই মানুষ তাকে বক্স অফিসের শক্তিশালী খেলোয়াড় বলা শুরু করে। কিন্তু পাবলিক তো পাবলিক। কিছুদিন আগে আসা তার ‘শেহজাদা’ (Shahzada) ছবি ফ্লপ হয়। এর বাজেট ছিল ৫০ কোটি টাকা। ছবিটি বিশ্বব্যাপী মাত্র ৪৭.৮০ কোটি আয় করেছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ছিল ৩২ কোটি টাকা। মানে এই ছবি তার খরচের সমান আয়ও করতে পারেনি।