Twitter-র CEO পদ থেকে খুব শীঘ্রই ইস্তফা দিতে পারেন Elon Musk
Twitter-র CEO পদ থেকে খুব শীঘ্রই ইস্তফা দিতে পারেন
বিশ্বর অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় ধনকুবের হলেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। যিনি টেসলা মোটরস ও স্পেস এক্সের চেয়ারম্যান। দুই মাস আগে তিনি টুইটার কিনে নেন ৪৪ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। অর্থাৎ গত অক্টোবর মাস থেকে তিনি টুইটারের সিইও (CEO Of Twitter) পদে আসীন হয়েছিলেন। তবে এর পর থওকে তাঁকে নানা সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল। এবার শোনা যাচ্ছে, তিনি খুবই শীঘ্রই টুইটারের সিইও পদ থেকে পদত্যাগ (Emon Musk Resign As Twitter CEO) করবেন। চলুন বিস্তারিত খবর জেনে নিন।
গত অক্টোবরে টুইটারের দায়িত্ব নেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। এর পর থেকে টুইটারে নানা পরিবর্তন এসেছে। প্রথমত তিনি দায়িত্ব পেয়েই টুইটারের অর্ধেক কর্মীকে কাজ ছাড়া করেছেন। এরপরই অর্থের বিনিময়ে টুইটার একাউন্ট ভেরিফিকেশন করার নতুন নিয়ম চালু করেন। এছাড়া গত সপ্তাহে তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন এবং ওয়াশিংটন পোস্টের কিছু সাংবাদিকদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। বার বার সমালোচনার মুখে পড়েই তিনি সিইও পদ থেকে সরে আসার কথা ভাবছেন।
ইলন মাস্ক নতুন সিইও (New CEO of Twitter) খুঁজছেন। এ নিয়ে তিনি টুইটারে একটি পোস্ট (Twitt) করেছেন। তিনি জনগনের ভোটের ভিত্তিতে এই সিন্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। এ জন্য টুইটারে একটি জরিপ শুরু করেছেন। এর আগেও তিনি টুইটারে বেশ কিছু জরিপ করেচ্ছিলেন এবং জনগণের রায় যা এসেছিল তা মেনে নিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, তিনি “ভক্স পপুলি, ভক্স ডেই” (Vox Populi Vox Dei) কথাটি মেনে চলেন। যার অর্থ “জনগণের কণ্ঠস্বরই ইশ্বরের কণ্ঠস্বর।” তবে এবারেও কি একই ভাবে জনগণের রায় মেনে নেবেন? তা ক্রমশ প্রকাশ্য।
ইলন মাস্ক টুইটারে প্রশ্ন করে লেখেন, “আমার কি শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ানো উচিৎ… জরিপের ফল যেটাই হোক আমি মেনে নেব।” তিনি নিজের ১২ কোটির বেশ ফলওয়ার্সের প্রতি এই প্রশ্ন রেখেছেন। এই জরিপে অংশ নিয়েছে ৮০ লক্ষ মানুষ। যাঁর মধ্যে প্রায় ৫৭.৫ % মানুষ ইলন মাস্কের সিইও পদ থেকে অপসারণের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এটি মাস্কের কাছে খুবই দুঃখজনক। কেননা এই দুই মাস হলো তিনি টুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন। এবার যদি তিনি জনগণের রায় মেনে নেন, তবে খুব শীঘ্রই তিনি টুইটারের সিইও পদ থেকে বিদায় নেবেন।