স্টুডেন্টদের জন্য সুখবর, সবথেকে সস্তায় Education Lone দিচ্ছে এই ব্যাঙ্ক

দ্বাদশ শ্রেণী (12th Class) বা গ্র্যাজুয়েশন (Graduation) পর কম-বেশি সব ছেলে মেয়েদেরই ইচ্ছা থাকে উচ্চশিক্ষা অর্জন করে ভালো একটা ক্যরিয়ার তৈরী করার। তেমনি কেউ কেউ ডাক্তারী (Doctors), ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) পড়তে বিদেশেও যেতে চান। কিন্তু বর্তমান সময়ে কোন ভালো বিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করার যা খরচ, তা মধ্যবিত্ত বা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। এছাড়া বিদেশে গিয়ে সেখানকার মূল্য অনুযায়ী সমস্ত খরচ চালানো মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। যার কারণে অধিকাংশ ছেলে মেয়েদের উচ্চাকাঙ্খা মাঝপথেই শেষ হয়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে এই খরচ বহন করার একমাত্র উপায় হল এডুকেশন লোন বা শিক্ষা ঋণ। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ব্যাংকেই খুব কম সুদের বিনিময়ে এই ঋণ পাওয়া যায়।

Education Loan

এডুকেশন লোন (Education Loan) মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য দেওয়া হয়। আবার উচ্চশিক্ষার পড়াশোনা চলাকালীন যদি অর্থাভাব হয় তাহলে সেক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সহজেই এডুকেশন লোন নিয়ে শিক্ষার্থী তার পড়াশোনা সমস্ত খরচা চালিয়ে যেতে পারে। এজন্য শিক্ষার্থীরা মনে করলে সাত শতাংশেরও কম সুদের হারে শিক্ষা ঋণ নিতে পারেন। তবে ব্যাঙ্ক বিশেষে এই সুদের হার এবং লোনের পরিমান নির্ভর করে। সাধারণত
এডুকেশন লোন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার সমস্ত খরচ বহন করে।

 

একিসঙ্গে এডুকেশন লোনের একটা সবথেকে বড়ো সুবিধা হল- নির্দিষ্ট কোর্স শেষ না হওয়ার আগে পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে লোন পরিশোধ করার কথা চিন্তা করতে হয়না। এমনকি পড়াশোনা শেষ করার পরেও ঋণগ্রহীতাকে আরও ৬-১২ মাস সময় দেওয়া হয় চাকরি খোঁজার জন্য। এরপর সহজ কিস্তিতে (EMI) ব্যাঙ্ককের সমস্ত মিটিয়ে দেওয়া যায়। সেইসাথে ঋণগ্রহীতা কত টাকা নেবেন এবং কত সময়ের মধ্যে তা পরিশোধ করবেন তার উপরে কিস্তির পরিমানটি নির্ভর করে। সাধারণত সম্পূর্ণ ঋণ ১৫ বছরের মধ্যে কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়।

Education

শিক্ষা ঋণের ক্ষেত্রে এসব একাধিক সুবিধার সাথে আয়কর আইন ১৯৬১ সেকশন 80E ধারা অনুযায়ী ঋণ শোধ করার সময় ঋণের সুদের উপর কর ছাড়ের সুবিধা রয়েছে। এডুকেশন লোনের জন্য অনলাইন বা অফলাইনে আবেদন করা যায়। এজন্য বেশ কিছু ডকুমেন্ট দরকার হয় যেমন -শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ফর্ম, বয়সের প্রমান পত্র, মার্কশিট, পারিবারিক রোজকারের প্রমান পত্র ইত্যাদি। সেইসঙ্গে বলে রাখি সাধারণত বাবা-মায়ের সাথে যৌথভাবে এই ঋণ নেওয়া হলে কোন রকম অসুবিধা ছাড়াই ৭.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায়।