মাছের মুড়ো খেলে সত্যিই বৃদ্ধি পায় বুদ্ধি? খোলাসা করলেন খোদ পুষ্টিবিদরা

বাঙালিদের (Bengali people) সবচেয়ে প্রধান ও প্রিয় খাদ্য (main and favourite food) হলো মাছ (Fish)। তাই ছোট থেকে বড়, নদী থেকে সমুদ্র- সব ধরনের মাছ খেতেই ভালোবাসে বাঙালিরা। তাই মাছকে বিভিন্ন শুভ কাজের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হয়। আর বাঙালিরা মাছের বিভিন্ন লোভনীয় পদ তৈরিতে এক্সপার্ট হয়। তাই বাঙালিরা অন্তপ্রাণ জাতি হিসাবে পরিচিত। আর তাই বাঙালিদের মধ্যে মাছকে নিয়ে অনেক ধরনের বাণী চালু রয়েছে।যেমন গুরুজনরা বলে থাকে মাছের মুরো (Fish head) খেলে বুদ্ধি বৃদ্ধি হয় ও মস্তিষ্ক দ্রুত গতিতে কাজ করে (eat Fish head then your intelligent and brain health will increase )। তাই মাছের মুরো খাওয়ার চল রয়েছে বাঙালিদের।

তবে প্রশ্ন হচ্ছে এই বাণী কি আদেও সত্যি যে মাছের মুড়ো দিয়ে তৈরি ডাল ও মুড়িঘণ্ট খেলে বুদ্ধি বাড়ে? এই প্রশ্নটি যখন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ মীনাক্ষী মজুমদারকে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তিনি জানান যে মাছের মুরো অত্যন্ত পুষ্টিকর ও উপকারী। তাই মাছের মুরোকে অবহেলা করা ঠিক নয়। তবে আসুন দেরি না করে জেনেনি মাছের মুরো খেলে কি কি উপকার হয়।

eat Fish head then your intelligent and brain health will increase

১) প্রোটিনের খনি: মাছের মুড়োয় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। আর এই প্রোটিনের বায়োলজিক্যাল ভ্যালুও অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ এই প্রোটিন শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করে নেয়। মীনাক্ষী মজুমদারের মতে ভারতীয়দের মধ্যে প্রোটিন ডেফিসিয়েন্সির প্রকোপ অনেকটাই বেশি। সেক্ষেত্রে এই সমস্যার পিছু ছাড়াতে প্রতিদিন মাছের মুরো খান। এটিতে উপস্থিত প্রোটিন কিন্তু দেহের বিল্ডিং ব্লক। পেশি তৈরি থেকে শুরু করে কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে অত্যন্ত কার্যকরী এই প্রোটিন।

২) দৃষ্টিশক্তির উন্নতি: মাছের মুড়োতে ভিটামিন-এ থাকে যার ফলে এটিচোখের বয়সজনিত ক্ষয়ক্ষতি আটকায় এবং রেটিনার খেয়াল রাখে। ফলে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর চোখের অসুখ থেকে অনায়াসেই দূরে থাকা যায়। এছাড়া চোখের মাইনাস পাওয়ার বৃদ্ধিজনিত সমস্যা আটকাতে সাহায্য করে। তাই বলা যেতে পারে।

৩) মস্তিষ্কের উপকারীতা: মাছের মুড়ো হল ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের খনি। আর এই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ব্রেনের সাস্থ্য ভালো রাখে, বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। যার ফলে গুরুজনেরা বলতো মাছের মুড়ো খেলে বুদ্ধি বারে।

৪) ছোট মাছে উপকার বেশি: বড় সাইজের মাছের মুড়োয় রয়েছে ফ্যাটের আধিক্য। এই ফ্যাট কিন্তু ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরল বা ব্লাড প্রেশারের রোগীর জন্য খুবই খারাপ। তাই রুই-কাতলা জাতীয় বড় মাছের মুড়ো যতটা সম্ভব খাওয়া কমাতে হবে। বরং ছোট সাইজের মাছের মুড়ো খান। এই ধরনের মাছের মুড়োয় খুব বেশি পরিমাণে ফ্যাট থাকে না। ফলে সমস্যার আশঙ্কা কয়েকগুণ কম থাকে।