জানেন কি কেন ঘড়িতে ঘণ্টার কাটা হয় ছোট এবং মিনিটের কাটা হয় বড়? রইল মজাদার কাহিনী
ঘড়ি (clock) ছাড়া এই পৃথিবী প্রায় অচল বললেই চলে। বহুবছর ধরে এই ঘড়ি গোটা পৃথিবীর মানুষকে সঠিক সময় দেখাচ্ছে। যার ফলে মানুষ সময়ের কাজ সময়ে করতে পারছে। সময় ভাগ করে কাজ করার ফলে, মানুষের জীবনের দৈনন্দিন আচরণও সঠিকভাবেই হচ্ছে।
ভালো করে ঘড়ি দেখলে দেখতে পাবেন, প্রায় সব ঘড়িতেই তিনটে করে কাটা থাকে। সবথেকে বড় কাটাটা সেকেন্ডের, এরপর মাঝের কাটাটা হয় মিনিটের এবং সবথেকে ছোট কাটাটি হয় ঘণ্টার। তবে সব ঘড়িতে আবার সেকেন্ডের কাটা দেখা যায় না। যার ফলে দুট কাটার মধ্যে বড় কাটাটি হয় মিনিটের এবং ছোট কাটাটি হয় ঘন্টার।
তবে জানেননি কেন ঘড়ির কাটা এমনভাবে তৈরি করা হয়? প্রথম যখন ঘড়ি আবিষ্কার হয়েছিল, সেইসময় ঘড়ি কোনকারণে বন্ধ হয়ে গেলে হাত দিয়ে কাটা ঘুরিয়ে চালাতে হত। এই সময় মিনিটের কাটা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সময় ঠিক করতে হত। যদি ঘণ্টার কাটা বড় হত এবং সেইসময় মিনিটের কাটা ঘরাতে গিয়ে যদি কোন কারণে হাত লেগে যেত, তাহলে সেই কাটাও ঘুরে যেত। যার ফলে একই মাপের দুটো কাটার মধ্যে সমস্যা দেখা দিত।
এছাড়াও ঘণ্টার কাটা এবং মিনিটের কাটা একই মাপের হলে, সময় দেখলেও সমস্যা হত। ঘড়ি দেখতে খুব অসুবিধে হত।
আবার মিনিটের কাটা বড় হওয়ায় সময় দেখার সময় সেই কাটা ঘড়িতে লেখা সময়ের কাছাকাছি যাওয়ায়, ঘড়ি দেখতেও সুবিধা হয়। আর মিনিটের কাটা যদি ছোট হত, তাহলে সেই কাটা ঘড়িতে লেখা সময়ের কাছাকাছি না পৌঁছানোর ফলে সময় দেখতেও অসুবিধে হত। এই একাধিক কারণের জন্য ঘড়ি তৈরির সময় বিভিন্ন সময়ের জন্য বিভিন্ন মাপের কাটা রাখা হয়েছে।