মাটিতে নয়, হওয়াতে চলে এই বিশেষ ট্রেন! প্রতিবেশী দেশের টেকনোলজি দেখে কপালে উঠবে চোখ
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি চীনের ম্যাগলেভ ট্রেন, ট্রেনের বিশেষত্ব খুব রোমাঞ্চকর
চীন তার সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও আবিষ্কারের কারণে প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকে। তাদের অনেক আবিষ্কার গোটা বিশ্বকে অবাক করার মত। আবারও একবার ড্রাগনের বিশেষ প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বকে অবাক করার মত এই প্রযুক্তি হল ভবিষ্যত ম্যাগলেভ ট্রেন (Maglev train)। এই হাই স্পিড ট্রেনটির বিশেষত্ব হলো এটি মাটির সাথে নয় বরং বাতাসে ঝুলন্ত অবস্থায় চলবে এই ট্রেন। অর্থাৎ ট্রাকের উপর উল্টে চলবে।
হ্যাঁ, এই নিয়ে চীনা গবেষকরা প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে ইলেকট্রিক ম্যাগনেটের দ্বারা এটি সম্ভব হবে। আসুন এই ট্রেন সম্পর্কিত এমন কিছু বিষয় আপনাকে জানাবো, যা আপনাকে রোমাঞ্চিত করবে।
২৬০০ ফুট লম্বা প্রকল্পটি:-
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চীনের এই প্রকল্পটি এখনো গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। যেটি জিয়াংজি অঞ্চলের জিংগু কাউন্টিতে নির্মিত হচ্ছে। এই ট্রেনের চাকায় ও ট্রাকে চুম্বকত্ব শক্তি নিযুক্ত করা হয়েছে, এর শক্তি এতটাই প্রদান করবে উল্টে গেলেও যেন ট্রেনটি ট্রাক থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়। এই প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২৬০০ ফুট। বলা হচ্ছে এই ট্রেনটির চুম্বক শক্তি দ্বারা ট্রেনটি বাতাসে ওঠে। চীনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
মাটি থেকে এর উচ্চতা 33 ফুট:-
অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে এটি এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ট্রেনটি মাটির সাথে লেগে না থাকে। সেই কারণে ট্রেনের ট্রাকের উচ্চতা মাটি থেকে 33 ফুট উপরে রাখা হয়েছে। বর্তমান পদ্ধতিতে চলা ট্রেনের তুলনায় এই ট্রেন খুব কম ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক নির্গত করে। এমন ট্রেন তৈরিতে খরচও কম।
ট্রেনটি কতজন যাত্রী নিয়ে, কত গতিতে চলতে পারে :-
যদি আমরা চীনা ম্যাগলেভ ট্রেনের (Chaina maglev train) কথা বলি তাহলে খুব একটি বড় হবে না এবং এর গতিও থাকবে লিমিটে। তিনটি একবারে মাত্র ৮৮ জন যাত্রী নিয়ে ভ্রমণ করতে পারবে যার গতি থাকবে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার। ট্রেনটি চলার সময় কোন ধরনের শব্দ হবে না। চীনা সরকার জানিয়েছে, এর গবেষণা সফল হলে বিশ্বের অন্যান্য শহরেও এই প্রকল্প চালু করা হবে।