অবাক লাগলেও সত্যি! বাইক চালিয়ে মাসে আয় করুন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, দেখুন বিস্তারিত

আজকাল বেশিরভাগ মানুষ চাকরির থেকে বেশি ব্যবসার (Business Idea) প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে। এমনকি এখন এমন অনেক ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে মানুষ তার মোটা টাকা মাইনের চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা করা শুরু করছে (now people resign the 9 to 5 job and show interest in business) ও সফলও হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় মানুষ ব্যবসা করার ভাবনা থেকে পিছিয়ে আসে কারণ ব্যবসা করতে গেলে অনেক মোটা অংকের মূলধনের প্রয়োজন হয় যা সবার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু যারা মূলধনের অভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারছেন না ভয় পাচ্ছেন তাদের জন্য আজ আমরা তাদের জন্য এমন একটু বিজনেস আইডিয়া (Business idea) নিয়ে এসেছি যেখানে আপনি খুব কম পরিমাণে ইনভেস্ট করে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। চলুন দেরিনা করে এই ব্যবসার বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কাছে থাকতে হবে একটি বাইক। যেমন এক ব্যক্তি বাইক নিয়ে বর্ধমানে ঘুরে ঘুরে আয় করছে। কি অবাক হলেন যে বাইক নিয়ে ঘুরে কিভাবে এতো টাকা আয় করা সম্ভব ? জানিয়ে দি এটা সম্ভব। এই ব্যক্তির নাম চন্দনলাল শ্রীবাস্তব (Chandanlal shrivastav)। আর তিনি তার বাইকের সাথে লাগিয়ে রেখেছেন একটি মেশিন। আর এই মেশিনের মাধ্যমেই হাজার হাজার টাকা আয় করেছেন এই ব্যক্তি। এই মেশিনটি হলো ছোলা ভেঙে ছাতু তৈরির মেশিন (Chandanlal attach chatu making machine with his bike and he prepare chatu by mix chola)। গ্রাহকদের সামনেই ছোলা ভেঙে ছাতু তৈরি করে ফেলছেন তিনি। আর তাই এখন বর্ধমানে খাটি ছাতুর চাহিদা তুমুল বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যেহেতু এই ব্যক্তি বাড়ি গিয়ে গিয়ে ছাতু বিক্রি করেন অনেকে মজা করে বলছেন “দুয়ারে ছাতু”।বর্তমানে খাঁটি ছাতুর চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা চন্দনলালের। এই প্রসঙ্গে চন্দনলাল জানান তিনি উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলা থেকে এখানে এসেছেন।

Chandanlal attach chatu making machine with his bike and he prepare chatu by mix chola

চন্দনলাল জানিয়েছে একটি কোম্পানি তাকে যেইভাবে মেশিনটি তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছিল সেইভাবেই মেশিনটিকে তৈরি করে ব্যবসা করছেন তিনি। আর তার ব্যবসা বেশ ভালোই চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আড়াই থেকে তিন মাস হলো বর্ধমানে এসেছেন চন্দনলাল। তার কাছে যেই বাইকটি রয়েছে তার পিছনের সিটে রয়েছে একটি ছোট জেনারেটর। এই জেনারেটরের সঙ্গেই লাগানো রয়েছে একটি ছোট মেশিন। আর গাড়ির সঙ্গে রয়েছে বস্তায় ছোলা ভাজা। আর্ভেই নিয়েই তিনি বর্ধমানের পারায় পারায় ঘুরে বিক্রি করেন ছাতু। গাড়ির সঙ্গে লাগানো রয়েছে তার ছাতুর প্রচার রেকর্ড। সবসময়ই তা গলা ছেড়ে গেয়ে চলেছে দুয়ারে ছাতু ভাঙার গুণগান।

গ্রাহকরা যে যতটা পরিমাণে চাইছে চন্দনলাল তাকে ততটা পরিমাণে ছোলা ভেঙে ছাতু প্রস্তুত করে দিচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে ওজন মাপার একটি যন্ত্র। ক্রেতারা জানিয়েছে যে আগে যখন তারা দোকান থেকে ছাতু কিনতো তখন ভালোই ছাতু পেতে কিন্তু অনেক সময় ভেজাল থাকার সম্ভবনা থাকতো। কিন্তু এখন নিজেরা সামনে দাড়িয়ে তারা ভেজাল মুক্ত ছাতু তৈরি হতে দেখতে পাচ্ছে ও এর স্বাদও অনেক ভালো বলে জানিয়েছে তারা। জানিয়ে দি উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় ব্যবসা ভালো চলছিল না বলে বর্ধমানে এসে ব্যবসা শুরু করেন চন্দনলাল শ্রীবাস্তব। বর্তমানে খুব সুন্দরভাবে চলছে তার ব্যবসা এবং মাসে প্রায় তার ১৫-২০ হাজার টাকার বেশি আয় হয়ে যায়।