সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি বলিউডের এই ৮ টি ফিল্ম ঠেলে দিতে পারে আপনাকে মৃত্যুর মুখে
এমন অনেক মানুষ এই পৃথিবীতে রয়েছে যারা ভূত-প্রেতের বিষয় অনেক বেশি আগ্রহী হয়। এই ধরনের মানুষরা সবসময় ভৌতিক জায়গা বা ভূতের ঘটনা ইত্যাদি বিষয় জানতে আগ্রহী থাকে। এমনকি এইসব হরার প্রেমী মানুষেরা ভূতের গল্পের বই পড়তে, ভূতের সিনেমা দেখা ও জানার বিষয় আগ্রহী থাকে। এছাড়া এখন তো বিজ্ঞানও বলেছে যে ভূত বা আত্মা বলে সত্যি কিছু রয়েছে এই পৃথিবীতে। প্যারানমাল এক্সপার্টরা এই নিয়ে ক্রমশ তাদের নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ও অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে যে ভূত সত্যি রয়েছে। হলিউডে এমন অনেক হরার ফিল্ম রয়েছে যেগুলি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে। কিন্তু খুব কম সংখ্যক লোকই হয়তো জানে যে বলিউডেও এমন কিছু হাড় হিম করা হরার ফিল্ম রয়েছে যেগুলি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে (Bollywood true story based horrar film)। তবে আসুন হরার প্রেমীরা সেই ফিল্ম গুলির বিষয় জেনেনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
১) মহল (১৯৪৯): এই বলিউড হরর ফিল্মটি আসলে অভিনেতা এবং প্রযোজক অশোক কুমারের বাস্তব জীবনের এক ঘটনার অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৪৮ সালে তিনি মধ্যরাতে একটি হিল স্টেশনে জীজীভয় হাউসের কাছে শুটিং করছিলেন যখন তিনি একটি রহস্যময় মহিলার গাড়িতে একটি মাথাবিহীন লাশ দেখতে পান। অশোক কুমার যখন তার চাকরদের কাছে এই ঘটনাটি বললেন তখন কেউ তাকে বিশ্বাস করে না। পরে যখন তিনি কাছাকাছি একটি থানায় অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন তখন তিনি জানতে পারেন যে ১৪ বছর আগে একই জায়গায় একই রকম একটি ঘটনা ঘটেছিল।
২) রাগিণী এম.এম.এস (২০১১): ‘রাগিনী এমএমএস’ ছবির নির্মাতারা প্রথমে গল্পের সত্যতা আড়াল করার চেষ্টা করলেও পরে তা প্রকাশ পায়। রাগিনী এমএমএস ফিল্ম দীপিকা নামে দিল্লির এক মেয়ের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল। ফিল্ম তৈরির কয়েক বছর আগে দীপিকা তার জীবনের প্রথম নাইট আউট করেছিলেন আর তার প্রেমিকের সাথে তাদের এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। দুজনেই সেই বাড়িতে আত্মার উপস্থিতি অনুভব করেছিলেন। দীপিকা প্রযোজক একতা কাপুরকে তার জীবনের অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন যার পর একতা কাপুর ছবি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
৩) এ কোশ্চেনমার্ক (২০১২): এই ফিল্মটি একটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। আসলে একবার বন্ধুদের একটি দল একটি হরার প্লেসে রাত্রিযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কিন্তু সেখান থেকে বেঁচে ফিরে আসেনি। তাদের পায়ের ছাপ পরে আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং ফুটেজ থেকে জানা গেছে যে তাদের সাথে আসলে কী ঘটেছিল।
৪) ট্রিপ টু ভানগড় (২০১৪): ট্রিপ টু ভানগড়’ একটি হরার ফিল্ম যা ভানগড়ের ট্যুরিস্টদের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। ভানগড়কে ভারতের সবচেয়ে ভুতুড়ে জায়গা বলে মনে করা হয়। এমনকি দুর্গে রাত্রি যাপন আইন দ্বারা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল যখন সেখানে অবস্থানকারী নিখোঁজ ব্যক্তিদের রিপোর্ট বেড়ে যায়। ছবিটি মূলত পর্যটকদের নিয়ে যারা মজার নামে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দুর্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।
৫) থ্রি এ.এম (২০১৪): 3 AM ফিল্মটি একটি লোককথা থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া কথার উপরে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। যেখানে সকাল ৩ টে থেকে ভোর ৪ টের আগের সময়টা শয়তানের সময় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সময়ে সমস্ত অতিপ্রাকৃত শক্তি সবচেয়ে শক্তিশালী এবং ডাইনি, আত্মা, ভূত এবং অন্যান্য অতিপ্রাকৃত প্রাণী এই সময় শক্তিশালী হয়ে ওঠে,তাদের আচার অনুষ্ঠান করে ইত্যাদি। চলচ্চিত্রটিও এই ধারণাকেই ঘিরে তৈরি হয়েছে।
৬) স্ত্রী (২০১৮):স্ত্রী’ ১৯৯০ এর দশকে বেঙ্গালুরুতে শহরের কাহিনী দ্বারা অনুপ্রেরিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই গল্পটি ছিল একটি ডাইনি রোজ রাতে দরজায় কড়া নাড়ত এবং কেউ দরজা খুললে সে তাকে মেরে ফেলত। আর এই ডাইনি সাধারণত লোকের দরজা খুলতে বাধ্য করতো সেই পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যের কণ্ঠ অনুকরণ করে কথা বলে।শেষমেষ এই ডাইনিকে দূরে রাখার জন্য লোকেরা তাদের বাড়ির বাইরে ‘নালে বা’ (একটি কন্নড় শব্দ যার অর্থ হলো আগামীকাল এসো) লিখতে শুরু করেছিল
৭) ঘোস্ট (২০১৯): বলিউডের হরর ফিল্ম ‘ভূত’ একটি বাস্তব জীবনের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি। আর্নে জনসন নামে একজন ব্রিটিশ ব্যক্তি, যাকে 1981 সালে তার বাড়িওয়ালার হত্যার জন্য বিচার করা হয়েছিল। তিনি তার আইনজীবীর সামনে স্বীকার করেছেন যে হত্যাকাণ্ডটি তার নয়, তার ভিতরের শয়তান করেছে। লোকটি নিজেকে একটি মন্দ আত্মা দ্বারা আবিষ্ট বলে বিশ্বাস করেছিল।
৮) ভূত (২০১৯): দ্যা হন্টেড শিপ ফিল্মটি ২০১১ সালের হলিউড ফিল্ম যা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। এমভি উইজডম, ৯০০০ টন কার্গো, জুন ২০১১ সালে জুহু সৈকতে আটকা অবস্থায় পাওয়া গেছিল।