মাত্র ৩০০ টাকা নিয়ে একসময় ছেড়েছিলেন বাড়ি, আজ সেই ছেলে দক্ষিণী নামকরা সুপারস্টার

বলিউড হোক কিংবা অন্যান্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (Film industry) , সব জায়গাতেই নেপোটিজম (Nepotism)রয়েছে। জেনে অবাক হবেন যে বলিউডের (Bollywood) থেকে সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে (South Film industry) নেপোটিজম বেশি রয়েছে। বর্তমানে এখন অনেক সুপারস্টার রয়েছে যারা সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করছে কিন্তু এরা সবাই স্টার কিড (star kid)। এমন পরিস্থিতিতে আউটসাইডারা এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ তেমন পায় না। আর যারা আউটসাইডার হওয়া সত্বেও নিজের জায়গা তৈরি করতে পেরেছে তারা প্রকৃত রত্ন। আর এরকমই একজন রত্ন হলো KGF ও KGF-2 এর অভিনেতা যশ (Yash)।
বর্তমানে যশকে চেনে না এরকম ব্যক্তি ভারতে অন্তত নেই। Kgf ১ ও ২ (kgf part 1 & 2) পার্ট গুলি করার পরই রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে উঠেছিলেন তিনি। একটা সময় ছিল যখন যশের জীবন ছিল অভাব ও অনাটনে ভরা। মাত্র ৩০০ টাকা পকেটে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি চলে এসেছিলেন অভিনেতা হবেন বলে। আর সেই স্বপ্নকে পূরণ করে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দি যে হাসান নামের একটি গ্রামে একেবারেই নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন যশ। তার বাবা ছিলেন একজন বাস কন্ডাক্টর। মা ছিলেন গৃহবধূ। আর যশের আসল নাম ছিল নবীন কুমার গৌঢ়া। তাদের পরিবারে সবসময় অভাব লেগেই থাকত। অথচ তার মধ্যেও তিনি অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। বাবা-মায়ের অমতে গিয়ে একপ্রকার বাড়ি থেকে পালিয়েই তিনি তার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেন।
একটি সাক্ষাৎকারে যশ জানিয়েছিলেন যে তিনি ছোটবেলা থেকেই একজন সুপারস্টার অভিনেতা হয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখতেন। আর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন যে একজন অভিনেতার উপরে সকলের নজর থাকে। তিনি বাড়ির সামনে ‘যেমন খুশি সাজো’ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। নিয়মিত নাচ করতেন। এগুলো করতে তার খুবই ভালো লাগত। আর এভাবেই ছোটো বয়স থেকে অভিনেতা হয়ে ওঠার জন্য পরিশ্রম করা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি।
তবে স্কুলে যখন সব বাচ্চাদের প্রশ্ন করা হচ্ছিল যে কে বড় হয়ে কি হতে চায় তখন যশ তার ইচ্ছার কথা জানালে সবাই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছিল। তবে সকলে তাকে নিয়ে মজাক করলেও তিনি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। এমনকি যশের বাবা-মাও চাইতেন না যে যশ অভিনেতা হোক। তাই অভিনেতা হওয়ার যাত্রায় পরিবারের সাপোর্টও পাননি তিনি। তাই শেষে যখন আর কোনো উপায় ছিল না তিনি ৩০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছিলেন। তার কোনো গডফাদার ছিল না। তাই ১০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিটে কাজ করার পর কেজিএফ ফিল্মের অফার তার ভাগ্য বদলে দেয়। বর্তমানে তার “রকি ভাই” চরিত্রটি গোটা দেশে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে।