খুবই ভালো মনের মানুষ ছিলেন কে কে, হোটেলে ফিরে অনুরাগীদের কথা রাখতে করেছিলেন এই কাজ

গতকাল প্রয়াত হন গায়ক কে কে। নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস মহাবিদ্যালয়ের গানের অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপরই মৃত্যু হয় সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের (Krishnakumar Kunnathk)। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া এইরকম নানা ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। অসুস্থ হওয়ার পর ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সুত্রের খবর মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। মঞ্চেই গান গাওয়ার সময় কেকে বারবার জানিয়েছিলেন তাঁর গরম লাগছে। স্পটলাইট অফ করতেও বলেছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

যখন তাঁকে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। পরে তাঁকে পরীক্ষা করে বলা হয় তিনি মারা গিয়েছেন। এর পরেই হাসপাতালে পৌঁছচ্ছেন হাসপাতালের প্রবীণ চিকিৎসকরা। গেছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা হাসপাতালে উপস্থিত রয়েছেন এখনও। জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘২৭ বছরের বন্ধু। আমার প্রথম ছবি থেকে গান গেয়েছেন।’

‘ আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার খুব কাছের বন্ধু।’ কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি বারবার বলতে থাকেন, ‘আমার খুব কাছের বন্ধু।’ কে কে(KK) -র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনুপম, ইমন, সুরজিৎ, বিক্রম ঘোষের মতো শিল্পীরা। তার ম্যানেজার জানান প্রোগরামের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

গাড়িতে যেতে যেতে তার হাতে পায়ে ক্র‍্যাম্প ধরে সেই কারণে এসি বন্ধ করতে বলেন তিনি। এর পর হোটেলে পৌঁছে অনুরাগীদের সাথে ছবিও তোলেন। তারপর নিজের ঘরের সোফাতে বসতে গিয়ে পড়ে যান। তারপরই তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই মৃত বলে ঘোষনা করা হয়।