Online Loan এর জেরে গুনতে হলো ১০,০০০ টাকার ঋণের মাসুল, মেটাতে হল ২.৫ লক্ষ টাকা
Online Loan নিয়ে ভুগতে হলো ব্যাক্তিকে
আজকাল টাকা-আদান প্রদান থেকে শুরু করে যাবতীয় বিল মেটানো সবকিছুই মানুষজন নিজেদের স্মার্ট ফোনের সাহায্যে অনলাইনে করছেন। এরকম পরিস্থিতিতে অল্পসংখ্যক টাকা লোন বা ঋণ (Loan) নেওয়ার জন্য মানুষজন ব্যাংকে যাওয়ার পরিবর্তে অনলাইন লোন (Online loan) সংস্থা বা মোবাইল অ্যাপস গুলিকে বেছে নিচ্ছেন। গুগল প্লে-স্টোর বা অন্য সাইটে এরকম অনেক মোবাইল অ্যাপস রয়েছে যারা অত্যন্ত কম সুদে ঋণ অফার করছে। কিন্তু আপনাদের জেনে রাখা দরকার এর পিছনেই চলেছে বড় চক্রান্ত। গ্রাহককে লোন আর সুদের জালে জড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারনা করছে প্রতারককারীর দল। সম্প্রতি এ রকমই একটা অদ্ভুত প্রতারণা চক্রের ফাঁদে পড়ে হিম শিম খাচ্ছেন এক যুবক। আসুন বিস্তারিত ঘটনাটি জেনে নিন –
ঘটনাটি মুম্বাই যোগেশ্বরীর একজন ২৮ বছর বয়সী ব্যক্তির। যিনি একটি অনলাইন অ্যাপস (Online Loan App)থেকে ১০ হাজার টাকার লোন নিয়েছিলেন। যেখানে চুক্তি অনুসারে তিন মাসের মধ্যে রিকোভারি এজেন্টকে ঋণের টাকা সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ৫ দিন পর থেকেই তার কাছে লোন পরিশোধের টাকা চেয়ে অচেনা নাম্বার থেকে বার বার ফোন কল আসতে থাকে। রীতিমতো ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করেন লোন সেই আদায়কারীরা। ফলে সেই যুবক একটি অন্য লোন অ্যাপ থেকে লোন নিয়ে পূর্বে নেয়া লোন পরিশোধ করেন। কিন্ত তিনি জানতেন না তিনি আসলে প্রতারণার জালে জড়িয়ে গিয়েছেন।
এরপর দ্বিতীয় লোন অ্যাপ থেকেও দুদিন পর থেকেই হুমকি আসা শুরু হয়। অপর প্রান্ত থেকে বলা হয় টাকা না দিলে তার বিকৃত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হবে। একপ্রকার ঘাবড়ে গিয়ে আবারও একটা অন্য অ্যাপ থেকে লোন নিয়ে দ্বিতীয় লোন পরিশোধ করে। কিন্তু বিষয়টি ধীরে ধীরে জটিল হতে থাকে। এভাবে সাতটি অ্যাপস থেকে তিনি লোন নিয়ে বসেন যেখানে ১০০০০ টাকার জায়গায় ৪০০০০ টাকা খোয়াতে হয় তাকে। কিন্তু ঘটনা থেকে নিষ্কৃতি পাননি সেই যুবক।
জানা গেছে মে মাসে সাতটি লোন অ্যাপ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের জন্য তাকে ব্ল্যাকমেল করে রিকভারি এজেন্টদের দল। ৩১ টিরও বেশি বিনা ডকুমেন্টসের মোবাইল নম্বর থেকে থ্রেট কল এবং আপত্তিজনক টেক্সট করা হয় তাকে। এর কিছু দিন পরে হঠাৎই আবারো তার কাছে ফোন কল আসে এবং লোনের টাকা বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু এবার যুবক টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার বিকৃত ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হয়। এরপর সেই যুবক প্রচন্ড ভয় পেয়ে যান এবং বন্ধু ও আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করে সেই ঋণ পরিশোধ করেন। কিন্তু তখনও থ্রেট কল আসতে থাকে।
এরপর আর অপেক্ষা করেনি যুবক তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং থানায় অভিযোগ করেন।
যুবকের কাছ থেকে সব শোনার পর পুলিশ একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং বলেছে যে এজেন্টরা সেই যুবক এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিকৃত কথা লেখার সাথে তার মর্ফ করা ছবিও পাঠিয়েছিল। তাছাড়া ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা জানিয়েছেন সেই যুবক সাতটি অ্যাপ – ক্রেজিবি, ক্যাশ অ্যাডভান্স, ডোভ ক্যাশ, ট্র্যাকও, অনস্ট্রিম, পাপা মানি এবং শাটল লোন – থেকে লোন নিয়েছিলেন যার একটারও অফিস মুম্বাইতে নেই। কিন্ত অ্যাপস গুলো গুগল প্লে স্টোরে কাজ করছে। সেইসঙ্গে এই ধরনের অ্যাপস যাতে কোন ব্যাক্তি ব্যবহার না করেন সে বিষয়ে জানিয়েছেন তারা।