লম্বা কান যুক্ত ছাগল, নীল ড্রাগন, লিপস্টিক পরা মাছ.. পৃথিবীর কোথায় হদিস মিলেছে সুন্দরীদের

আমদের পৃথিবীর বুকে অনেক ধরনের প্রাণী বসবাস করে। প্রতিটি প্রাণীর আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট রয়েছে। যেমন মানুষ এক রকমের বৈশিষ্ট নিয়ে জন্মায় আবার অন্যান্য জীব-জন্তুরা আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মায়। এরকমও অনেক প্রাণী রয়েছে যাদের অস্তিত্বর ব্যাপারে এখনো বিজ্ঞানিরা জানেনা অথচ এই প্রাণী গুলি পৃথিবীর বুকে বসবাস করে চলেছে। কিন্তু আপনি কখনো চেনা প্রাণী গুলির আলাদারকম বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মাতে দেখেছেন? কি অবাক হলেন প্রশ্ন শুনে ? যদি ধরুন ডিসনির সেই ‘ডাম্বো’ ফিল্মের মতো কোনো হাতি আপনার সামনে চলে অসে। ফিল্মটিতে দেখানো হয়েছিল জে সদ্য জন্মানো একটি হাতির বাকি হাতিদের তুলনায় অস্বাভাবিক ও বিশাল বড় কান। সাধারণত হাতিদের এতো বড় কান দেখা যায় না। ফিল্মে এই হাতিটি বাকি হাতিদের তুলনায় আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মেছিল। যদিও এটি একটি কাল্পনিক ফিল্ম ছিল। তবে ফিল্মটি কাল্পনিক হলেও কিছু কিছু প্রাণী বাস্তবে পৃথিবীর বুকে রয়েছে যারা নিজের জাতের অন্য প্রাণী গুলির থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মেছে। আর এই আলাদা বৈশিষ্ট্যের কারণে আজ তারা বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং ভাইরাল হয়ে গেছে। আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলে পৃথিবীর বুকে বাস করা কয়েকটি পরিচিত প্রাণী নিয়ে কথা বলবো যারা আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে জন্মেছে।

১) লম্বা কান যুক্ত ছাগল: এই জুন মাসেই পাকিস্তানের করাচিতে একটি লম্বা কান যুক্ত ছাগল জন্মগ্রহণ করেছে। এই ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য ১৯ ইঞ্চি। এই ছাগলের মালিক ছাগলের নাম দিয়েছে সিম্বা এবং ইচ্ছা প্রকাশ করেছে যে তিনি চান সিম্বার নাম গিনিস বুকে উঠুক। প্রচণ্ড তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অ্যাংলো-নুবিয়ান প্রজাতির ছাগলের কানের দৈর্ঘ্য সাধারণত লম্বা হয়। কিন্তু সিম্বার ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে যে জিন গত কারণে সিম্বার কান লম্বা।

Big ear goat

২) লিপস্টিক পরা মাছ: প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে গ্যালাপ্যাগোস দ্বীপপুঞ্জে ‘রেড লিপড্‌ ব্যাটফিশ’-এর খ‌োঁজ মিলেছে। এই ব্যাটফিশকে দেখলে মনে হবে যেন ঠোঁটে লাল রঙের লিপস্টিক পরে রয়েছে। রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে এই মাছ সাঁতার কাটতে অক্ষম। পেক্টোরাল পাখনার সাহায্যে সমুদ্রের গভীরেই হেঁটেচলে এরা।

Lipstick fish

৩) পান্ডা এন্ট: এই এন্ট বা পিঁপড়ের গায়ের রং একটি পান্ডার রঙের মতো। পান্ডার মতন এর গায়ে সাদা-কালো ছাপ রয়েছে। এরকমই এই পিঁপড়ের কামড় এতটাই যন্ত্রণাদায়ক যে একে ‘গরু নিধনকারী’ বা ‘কাউ কিলার’-ও বলা হয়। মেক্সিকো, আমেরিকা, চিলিব ইত্যাদি জায়গায় এই পিঁপড়ে গুলি দেখতে পাওয়া যায়।

Panda ant

৪) জাপানিজ স্পাইডার ক্র্যাব: জাপানে একটি মাকড়শার খোঁজ পাওয়া যায় যাকে অনেকটা কাঁকড়া মতো দেখতে। হটাৎ করে দেখলে অনেকেই ধরতে পারবে না যে এটি কাঁকড়া না মাকড়শা। জাপানের স্থানীয় লোকেরা একে খাদ্য হিসাবেও গ্রহণ করে থাকে। হোনসু দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ উপকূলে এই মাকড়শা দেখতে পাওয়া যায়।

Japanese spider crab

৫) ব্লু ড্রাগন: এই ড্রাগন ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে দেখতে পাওয়া যায়। এই ড্রাগণটি উড়তে পারে না। নীল রঙের এই সামুদ্রিক স্লাগটি দেখতে অবিকল ড্রাগনের মতো। পাকস্থলীর কাছে গ্যাসযুক্ত থলি থাকায় সমুদ্রের জলের ঠিক নীচে এদের ভেসে থাকতে দেখা যায়।

Blue dragon

৬) গ্লাস ফ্রগ: দক্ষিণ আমেরিকায় এমন একটি ব্যাঙের প্রজাতি রয়েছে যাদের দেখলে মনে হবে এদের দেহ চামড়া নয় বরং কাচের আবরণ দিয়ে তৈরি। এই ব্যাঙের পেটের দিকের চামড়া এতটাই পাতলা যে ভিতরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে দিয়ে দেখা যায়।

Glass frog