মুরগি পালনের চেয়ে এই পাখির ব্যবসায় রয়েছে দুর্দান্ত লাভ! শুধুমাত্র ডিম বিক্রি করেই হতে পারবেন লাখপতি
এই পাখির চাষ হাঁস-মুরগি পালনের চেয়ে অধিক লাভ, পাখির খাবারের খরচ কম এবং এক পাখি বছরে ৩০০ ডিম দেয়

ভারতীয়রা পশু পালনে অনুরাগী! প্রায় প্রতিটি পরিবার শখ পূরণের জন্য পশুপালন ও হাঁস-মুরগি পালন (Poultry farming) করলেও অনেকের কাছে এটা একটা জীবিকা। অনেক পরিবারই হাঁস-মুরগির ওপর নির্ভর করে তাদের সংসার। তবে হাঁস-মুরগি পালনকারীদের তাদের খাদ্য জোগাড় অনেক ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। যার জন্য তাদের আয় ও ব্যয়ের ব্যাবধান বেশি থাকে না অর্থাৎ লাভ হয় খুবই কম। কিন্তু এই প্রতিবেদনা আমরা আপনাকে এমন এক পাখির কথা বলব যা পালন করলে আপনি অল্প সময়েই লাখপতি হতে পারেন।
হ্যাঁ, আমরা আপনাকে তিতি পাখির কথা বলছি। এই পাখির সম্পর্কে খুব কম মানুষই জানেন। বাজারে এর মাংসের চাহিদা প্রচুর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি বন্য পাখি। মানুষ এই পাখির মাংস খুব পছন্দ করে। বাজারে মুরগির মাংসের চেয়ে এই মাংসের দামও বেশি। অনেক জায়গায় এই পাখিকে কোয়েল পাখি (Koyel Pakhi) বলেও ডাকা হয়। প্রসঙ্গত, তিতি (pheasant bird) পালন করলে দারুন আয় হবে।
আমরা আপনাকে বলি, দেশে তিতির সংখ্যা আগের তুলনে বহু কমে গেছে। এখন ফার্মের মাধ্যমে তিতি পালন করতে গেলে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। পাখি বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এক স্ত্রী তিতি বছরে ৩০০ টি ডিম পাড়তে পারে। এই পাখি জন্ম নেওয়ার ৫০ দিন পর থেকেই ডিম দিতে শুরু করে। বিশেষত এই পাখি মুরগির তুলনায় আয়তনে বেশ ছোট এবং এদের খাবারের জন্য তেমন খরচ হয় না।
বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন যদি এই পাখি কেউ পালন করতে ইচ্ছুক হয় তাহলে অল্প পাখি নিয়েই শুরু করতে পারেন। এই পাখির ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। এর ডিমের একগ্রাম কুসুমে ১৫-২৩ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। যেটা অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে। ডিম মুরগির ডিমের মতো সাদা নয় বরং রঙিন হয়।
এই পাখির মাংসের চাহিদা বাজারে প্রচুর। যার কারনে খুব সহজেই একটি পাখি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। যেহেতু এই পাখি পালন করতে খরচ তেমন হয় না, এক্ষেত্রে আপনি যদি ফার্মের মতো করে পাখি পালন করেন তাহলে আয় হবে প্রচুর। বিশেষজ্ঞদের মতে পোল্ট্রি ফার্মের চেয়েও এর উপার্জন হবে বেশি।