IT কোম্পানির চাকরি ছেড়ে করছেন মাশরুমের চাষ, বার্ষিক আয় ১.৫ কোটি টাকা

‎বর্তমান যুগে নারীরা পুরুষদের থেকে পিছিয়ে নেই। এখন তারা পুরুষদের সাথে সমান তালে কাজ করে চলেছেন। মহিলাদের শিক্ষার হার বেড়েছে। নারীরা আজ বড় বড় বিজনেসম্যান হয়ে উঠছেন। আজ এমন এক নারীর কথা আপনাদের জানাবো, তিনি সাহসিকতা এবং পরিশ্রমের দ্বারা কৃষি চাষ করে সফল ব্যবসায়ী।

তিনি হলেন হিরেশা ভার্মা। তিনি উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের বাসিন্দা। তিনি একজন আইটি পেশাদার ছিলেন। তিনি দিল্লীতে আইটি কোম্পানিতে কাজ করতেন। কিন্তু তিনি এত ভালো জব ছেড়ে দিয়ে নিজের দমে এবং পরিশ্রমের দ্বারা নিজের ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। আজ তাঁর ব্যবসা যথেষ্ট সফল। তাঁর এখন দেড় কোটি টাকারও বেশি মুনাফা হয়।

আসলে দিল্লিতে কাজ করার সময় তিনি জানতে পারেন, কেদারনাথে বিপর্যয়এর সৃষ্টি হয়েছে। তিনি নিজের জন্মভুমিতে ফিরে আসেন। তিনি উত্তরাখণ্ডে গিয়ে দেখেন গ্রামের মানুষের অবস্থা খুবই খারাপ। বিশেষত যে পরিবারে শুধুমাত্র নারীরা আছে সেই নারীদের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

তিনি ঠিক করেন অসহায় মহিলাদের জন্য তিনি কিছু কিছু একটা করবেন। গ্রামের গরীব মানুষগুলোকে সাহায্য করার জন্য তিনি এনজিওতে যোগ দিলেন। এরপর তিনি উত্তরাখণ্ডে কৃষিকাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে উত্তরাখণ্ডএর জলবায়ু যেহেতু চাষের জন্য উপযুক্ত নয় সেহেতু মাশরুম চাষ শুরু করলেন।

মাশরুম চাষ করার জন্য বেশি টাকা ইনভেস্টমেন্টএর প্রয়োজন হয় না। তিনি গ্রামের নিঃস্ব মহিলাদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের খালি বাড়িতে জৈবভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন। আজ সেই ব্যবসা থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত মুনাফা হচ্ছে।

মাশরুম থেকে প্রোটিন পাউডার, চা, পাপড়ের আচার, কুকিজ, স্যুপ নাগেট ইত্যাদি তৈরি হয়। এছাড়া ক্যান্সার রোগে ব্যবহৃত হয়। হিরেশা ভার্মা আজ প্রচুর লোকের কর্মসংস্থান করে দিয়েছেন। অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে পুরস্কার অর্জন করেছেন।

Related Articles

Back to top button