ছোট ১ টাকার কয়েন নিতে অস্বীকার করছে দোকানদার? RBI-র নিয়ম না মানলে দায়ের হতে পারে মামলা
এই ডিজিটালের যুগে ক্রমশ নগদহীন হওয়ার দিকে এগচ্ছে আমাদের পৃথিবী। এখন সর্বত্রই অনলাইন পেমেন্ট অপশন চালু হয়ে যাওয়ার কারণে, মানুষের কাছে নগদ অর্থ খুব কম থাকতে দেখা যায়। তবে খুব বেশি নগদ না থাকলেও, কিছু খুচরো অবশ্যই থাকে মানুষের পকেটে। আর সেসব খুচরোর মধ্যে বিশেষ করে থাকে এক টাকার কয়েনও।
অনেক সময় দেখা যায়, অনেক দোকানদার এই এক টাকার ছোট কয়েন নিতে চান না। দোকানদার বলেন, এই কয়েন আর চলবে না। তবে কি কখনও ভেবে দেখেছেন, দোকানদার কেন বলছেন এই এক টাকার ছোট কয়েন আর চলবে না? এই কয়েন কি সত্যি আর কাজ করে না? আর যদি এই কয়েন আর কাজ না করে, তাহলে কেনই বা এর প্রচলন রয়েছে এখনও?
জেনে নিন বিস্তারিত-
কোন দোকানদার যদি আপনার থেকে এক টাকার এই ছোট কয়েন নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে পরিস্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনরকম দ্বিধা দ্বন্ধ ছাড়াই এই এক টাকার ছোট কয়েন সকলেরই নেওয়া উচিত। কারণ আরবিআই অনুসারে বিদ্যমান সমস্ত কয়েন বৈধ্য।
এবিষয়ে আরবিআই বলছে, মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সময়ে সময়ে নতুন কয়েন চালু করা হয়। সব কয়েনের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নতুন মুদ্রা বিভিন্ন অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ধারণা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। যদি কেউ কয়েন না নেয়, তাহলে আমরা তাদের এই নির্দেশিকা সম্পর্কে সচেতন করতে পারি।
পোস্ট অফিসগুলিও আরবিআই নির্দেশিকা অনুসারে সমস্ত ধরণের নোট এবং কয়েন গ্রহণ করে। তাই আপনি যদি আপনার ১ টাকার ছোট কয়েনটি পোস্ট অফিসে নিয়ে যান, তবে আপনি এটি সেখানে ব্যবহার করতে পারেন। মানে আপনি এটি সেখানে জমা করতে পারেন বা আপনি সেখান থেকে কিছু কিনতে পারেন। এই পুরো জিনিস মানে পোস্ট অফিস আপনার মুদ্রা গ্রহণ করতে হবে। আরবিআই ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের শাখায় আসা গ্রাহকদের মুদ্রাগুলি ফেরত না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
কয়েন বন্ধের বিষয়ে আরবিআই জানিয়েছে, কিছুদিন আগে কিছু কয়েন নিয়ে দোকানদারদের মধ্যে সন্দেহ থাকার কারণে, তাঁরা সেই কয়েন ব্যবহার করছিল না। সেইসময় আরবিআই সকলকে গুজবে কান না দিয়ে, কয়েন ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছিল। এখন যদি কোন ব্যক্তি ছোট ১ টাকার কয়েন নিতে না চান, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা যেতে পারে। যারা ভারতে আইনি দরপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে IPC-এর 498(A) থেকে 498(E) ধারার অধীনে মামলা করা যেতে পারে।এই ধারাগুলির অধীনে, যে কোনো আদালত কর্তৃক আর্থিক জরিমানা, কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।