বিক্রি হয়ে গেল আবারো এক বড় সরকারি কোম্পানি, কামান্ড পেলেন রতন টাটা
বর্তমানে বেশ কিছু বৃহৎ সরকারি (Government) প্রতিষ্ঠানের বেসরকারি করণ হয়েছে। সম্প্রতি আবারও একটি বড় কোম্পানিকে প্রাইভেট কোম্পানির হাতে তুলে দিয়েছে সরকার। এই সরকারি কোম্পানিটি কিনে নিয়েছেন ভারতীয় প্রবীণ ব্যবসায়ী রতন টাটা (Ratan Tata). কোম্পানিটি হচ্ছে NINL. ভারত প্রেট্রোলিয়াম (Indian Petroleum), এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) পর প্রাইভেট হতে চলেছে নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেড(NINL). যেটি টাটা গ্রুপের অধীনে টাটা স্টিল লং প্রোডাক্ট লিমিটেডের (Tata Steel Long Products Ltd.)
কাছে হস্তান্তরিত করা হচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নিলামে ₹১২০০০ কোটি টাকার সর্বোচ্চ দর দিয়ে NINL-এর ক্রেতা হিসেবে অনুমোদন পেয়েছে Tata Steel Long Products Ltd.
নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেড (NINL) হল- এমএমটিসি লিমিটেড(MMTC),এনএমডিসি লিমিটেড(NMDC), ভিল(BHEL), মেকন(MECON) এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ ওড়িশা লিমিটেড দ্বারা যৌথভাবে পরিচালিত একটি কোম্পানি। ওডিশার কলিঙ্গানগরে অবস্থিত NINL কোম্পানিটি বার্ষিক ১.১ মিলিয়ন টনের ইস্পাত প্রস্তুত করত। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ক্রমাগত লোকসানের ফলে ২০২০ সালের সালের মার্চ মাসে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এই কোম্পানির উপরে প্রচুর অর্থের ঋণ এবং দায় রয়েছে।
নীলাচল ইস্পাত নিগম লিমিটেডের লেনদেন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে টাটা গ্রূপের কাছে হস্তান্তরিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। জানিয়ে রাখি গত বছর জানুয়ারি মাসে সরকার কর্তৃক আয়োজিত নিলামে, জিন্দাল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড, নলওয়া স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড এবং জেএসডব্লিউ স্টিল লিমিটেডের একটি কোম্পানিকে নিলামে হারিয়ে NINL- এর ৯৩% ইকুইটি শেয়ারের মালিকানা পেয়েছিল টাটা।
ওড়িশায় অবস্থিত প্ল্যান্টটি বিনিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী এবং চূড়ান্ত ধাপে টাটা গ্রুপের কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রসঙ্গত বলে দিই, এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য ১৮০০০ কোটি টাকার বিড করেছিল টাটা গ্ৰুপ। এবার ১২,০০০ কোটি টাকায় টাকায় NINL কিনেছে টাটা। তবে এই ইস্পাত কোম্পানি বিক্রির টাকা সরকারি রাজকোষে জমা হবে না। কারণ এই কোম্পানির কোন ইকুইটি শেয়ার সরকারের হাতে নেই। সেজন্য এই বিক্রির অর্থটি ওড়িশা সরকারের চারটি CPSE এবং দুটি PSU-তে যাবে।
অন্যদিকে NINL-এর উপর ৬,৬০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ এবং দায় আছে। যার মধ্যে প্রোমোটারডের ৪,১১৬ কোটি টাকা, ব্যাঙ্কগুলির কাছে ঋণ ১৭৪১কোটি টাকা, সাথে অন্যান্য পাওনাদার এবং কর্মচারীদের কাছে বিশাল পরিমান টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া ৩১শে মার্চ, ২০২১পর্যন্ত কোম্পানিটির ৩,৪৮৭ কোটি টাকা নেগেটিভ নেট অর্থ রয়েছে এবং ৪২২৮ কোটি টাকা মার্কেটে লোকসান করেছে এই কোম্পানি৷ সেইসঙ্গে জানিয়ে দিই, NINL ভারতে পাবলিক সেক্টর স্টিল উৎপাদন উদ্যোগের বেসরকারীকরণের প্রথম উদাহরণ হতে চলেছে।