Mukesh Ambani: 4G-5G এর থেকে অনেক বড় মা-বাবা….তরুণদের প্রতি মুকেশ আম্বানির পরামর্শ

ভারত ও এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শিল্পপতি (businessman) মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। শুধু তাই নয় মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) নাম গোটা পৃথিবীর ১০ জন সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ৭ নম্বরে রয়েছে। বলা যেতে পারে মুকেশ আম্বানি এই পৃথিবীর ধনী ও বিখ্যাত শিল্পপতিদের (Business man)মধ্যে অন্যতম। এছাড়া জানিয়ে দি মুকেশ আম্বানি ও তার পরিবার প্রায় তাদের ব্যবসা, ব্যক্তিগত জীবন ও বিশেষ করে লাক্সারি জীবনযাপনের জন্য আলোচনার বিষয় হয়ে থাকে। বিশেষ করে মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নিতা আম্বানি (Nita Ambani)প্রায় আলোচনার বিষয় হয়ে থাকেন। বলা যেতে পারে পৃথিবীতে এমন কোনো লাক্সারি বস্তু নেই যেটা আম্বানি পরিবারের কাছে নেই। সবচেয়ে দামি বাড়ি থেকে শুরু করে সবচেয়ে দামি গাড়ি পর্যন্ত সবকিছুই রয়েছে আম্বানি পরিবারের কাছে।

মুকেশ আম্বানির কোম্পানি নিজের টেলিকম কোম্পানি রিলায়েন্স জিও দেশের টেলিকম সেক্টরে 4G ও 5G চালু করেছিল। এর ফলে দেশে ডেটা খরচের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু মুকেশ আম্বানি দেশের তরুণ-তরুণীরা যারা 4G ও 5G নেটওয়ার্কের পিছনে ছুটছে তাদের উদেশ্যে একটি পরামর্শ দিয়েছেন। মুকেশ আম্বানি বলেছেন দেশের যুবক-যুবতীরা 4G ও 5G নেটওয়ার্কের পিছনে ছুটছে কিন্তু তাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত যে এই পৃথিবীতে মা ও বাবার চেয়ে বেশি মূল্যবান কিছুই নেই। সন্তানদের তাদের মা-বাবা ত্যাগ ও সংগ্রামকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এছাড়া মুকেশ আম্বানি আরো বলেছেন যে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ইকোনমি ৪০ ট্রিলিয়ন ডলারের ইকোনমিতে পরিণত হবে। ক্লিন এনার্জি রিভলিউশন,বায়ো এনার্জি রিভলিউশন ও ডিজিটাল রিভলিউশন আগামী দিনে ভারতের আর্থিক প্রগতিতে গেম চেঞ্জার প্রমাণিত হবে।

পণ্ডিত দীনদয়াল এনার্জি ইউনিভার্সিটির দশম সমাবর্তনে দেশের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি বলেছেন- “আজ আপনার দিন। কিন্তু তোমার বাবা-মা অধীর আগ্রহে এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছেন। এটা তার সারাজীবনের স্বপ্ন। তাদের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের কথা ভুলে যাবেন না। তোমাদের সাফল্যে তাদের অপরিসীম অবদান রয়েছে। আজকের তরুণরা 4G এবং 5G নিয়ে উত্তেজিত। কিন্তু মা-বাবার চেয়ে বড় কোনো ‘জি’ নেই।”

Mukesh Ambani

আম্বানি আরো বলেছেন যে এই ব্যাচটি এমন একটি বছরে গ্রাজুয়েট হতে চলেছে যখন ভারতের অমৃত কাল শুরু হচ্ছে। আমাদের ঐতিহ্যে অমৃত কালকে যে কোনো নতুন কাজ শুরু করার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়। অমৃত কালে ভারত অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হবে এবং সুযোগের বন্যা হবে। বর্তমানে ভারতের অর্থনীতি তিন ট্রিলিয়ন ডলার যা ২০৪৭ সালের মধ্যে ৪০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। এইভাবে ভারত বিশ্বের শীর্ষ তিনটি অর্থনীতিতে যোগ দেবে।

আম্বানি বলেছেন যে পরিষ্কার শক্তি বিপ্লব এবং জৈব-শক্তি বিপ্লব টেকসই শক্তি সরবরাহ করবে যেখানে ডিজিটাল বিপ্লব আমাদের সুবিধাজনকভাবে শক্তি ব্যবহার করতে সহায়তা করবে। এই সুন্দর গ্রহটিকে জলবায়ু সংকট থেকে বাঁচাতে ভারত ও বিশ্বকে সাহায্য করবে। AI, রোবোটিক্স এবং IoT এর মত প্রযুক্তি আমূল পরিবর্তন আনবে। আমাদের তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা উচিত।